।
নবীনগর উপজেলার রতনপুর ইউনিয়নের খাগাতুয়া গ্রামে দশ থেকে বারো টি বাড়ি ঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে লোটপাট করার অভিযোগ উঠেছে নবীনগর থানার পুলিশের বিরুদ্ধে।
এ বিষয় এ জানতে ১৩ নভেম্বর সরেজমিনে ঐ এলাকায় গিয়ে দেখা যায় প্রতিটি বাড়ি ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর অবস্থায় মেঝেতে পরে আছে।
গ্রামের অধিকাংশ পুরুষ লোক পালিয়ে আছেন গ্রেফতার আতংকে।
এ সময় অভিযুক্ত হালিম মিয়ার মা সহ কয়েকটি পরিবারের সাথে কথা বলে জানা যায়।
গত ১০ নভেম্বর আছরের সময় সিভিল বেসে পুলিশের ওসি সহ কয়েকজন যান আব্দুল কাদির মিয়ার ছেলে আব্দুল হালিম কে একটি মামলায় আটক করতে।
ঐ সময় সিভিল পুলিশ সদস্যদের ডাকাত বা সন্ত্রাস সন্দেহে গ্রামের মানুষজন পুলিশের উপর হামলা করে আসামী ছিনিয়ে নেই,
তার ই ধারাবাহিকতায় রাতের আঁধারে শতাদিক পুলিশ সদস্যরা বাড়িতে গিয়ে হামলা লোটপাট ও ভাংচুর করেন বলে জানান ভুক্তভুগীরা।
এ সময় ভুক্তভুগীরা আরো জানান হালিম মিয়া কখনো ডাকাত ছিলো না সে মুরগীর ফার্ম ও পুকুরে মাছ চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করে। এলাকার কিছু মন্দ লোকের সহযোগিতায় ঘুষ বাণিজ্য করার জন্যে হালিম মিয়া কে আটক করে নিয়ে যেতে চেয়েছিলো পুলিশ।
সে কখনো আওয়ামী লীগের কর্মি ছিলো না, আমরা বিএনপি করি যার কারণে আমাদের কে আওয়ামী লীগের আমলেও ঐ ব্যাক্তিরা হয়রানি করতো।
এ সময় উপস্থিত অনেক ই জানান শতাদিক পুলিশ সদস্যরা হামলা চালিয়ে লোটপাট করে নগদ অর্থ ও স্বর্ণঅলংকার নিয়ে যান।
পুলিশের উপর হামলা ও আসামী ছিনিয়ে নেওয়ার অপরাধে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছেন , আটক করা হয়েছে কয়েকজন কে বাকিদের আটকের জন্য চলছে অভিযান, মামলার কপি দেখে বুঝা যাচ্ছে এখন ও পুলিশ কে ব্যবহার করছেন একটি মহল, অনেকের মতে যারা ঐ সময় উপস্থিত ছিলেন না তাদের কে ও করা হয়েছে আসামি কারো ইশারায়, এমননি তথ্য উঠে এসেছে মামলার ১৮ নং আসামী আসাদুল ইসলাম নামের এক আসামী কে দেখে, ঘটনার দিন পুলিশের উপর হামলা করেছে এমন অভিযোগ থাকলে ও বাস্তবতার সাথে নেই কোন মিল, ১০ নভেম্বরের একটি সিসি টিভি ফুটেজ এ দেখা যাচ্ছে আসাদুল ইসলাম ঢাকায় তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে, তাহলে কি আসাদুল এর ভুত এসে ১০ নভেম্বর পুলিশ কে হামলা করেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যাক্তি জানান ঐ গ্রামে কয়েকটি পক্ষ বিভিন্ন সময় পুলিশ কে ব্যবহার করে আসামী ধরপাকড় ও ছাড়ানোর ব্যবসা করে থাকেন, এ নিয়ে এলাকায় কয়েকবার হয়েছে বড় ধরনের সংঘর্ষ। সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন তাহলে কি পুলিশ এখন ও সংস্কার হয় নি, পুলিশ কি বার বার কারো না কারো গুটির চাল হয়ে সাধারণ মানুষ কে হয়রানি করবে। আর যারা গোপনে এই কলকাঠি নাড়ছে তাদের বিচার কি আদোও হবে। এলাকাবাসীর আশঙ্কা এটি পুলিশেই ঘটিয়েছে।
এ বিষয় খাগাতুয়ার পারভেজ আহমেদ ভিডিও বক্তব্য না দিয়ে অডিও বক্তব্যে তিনি হালিম মিয়া খুনের মামলার আসামী বলে জানিয়েছেন।
এ ঘটনায় নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ হুমায়ুন কবির জানান এ বিষয় এ আমি কোন বক্তব্য দিবো না।