সুভাস দাস ,পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি
দশমিনায় টিসিবি’র কার্ডধারীদের বঞ্চিত করে আবুল কালাম’র বিরুদ্ধে ৩০বস্তা চাল কালো বাজারে বিক্রির অভিযোগ
পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ব্যবসা বানিজ্য শাখার অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক ও টিসিবির পণ্য তদারিকারক মোঃ সাব্বির হোসাইন এর ছত্রছায়ায় অপকর্ম করেও পার পেয়ে গেছেন মেসার্স হাওলাদার টেডার্স, টাউন কালিকাপুর, পটুয়াখালী পৌরসভা এর প্রোপাইটর মোঃ আবুল কালাম আজাদ। বিনিময়ে তিনি সব মহল কে ম্যানেজ এর নামে তাকে দিয়েছেন নগদ ১০ হাজার টাকা ।
পটুয়াখালীর দশমিনা সদর ইউনিয়নে সুবিধা ভুগীদের বঞ্চিত করে টিসিবি’র ডিলার কর্তৃক কালো বাজারে ন্যায্য মূল্যের ৩০ বস্তা চাল বিক্রয় করার অভিযোগ উঠেছে।সুত্রে জানা গেছে, অক্টোবর -২০২৪ মাসে দশমিনা সদর ইউনিয়নে নির্ধারিত টিসিবি’র
ডিলার ১৮০ জন সুবিধা ভুগীদের মাঝে মাথা পিছু ৫ কেজি করে ন্যায্য মূল্যের চাল না দিয়ে তা কালো বাজারে ১২০০ শত টাকা দরে প্রতি বস্তা বিক্রি করেন বলে সুত্রে জানা গেছে। এনিয়ে প্রায় সুবিধা ভুগীগন তাৎক্ষণিক ভাবে প্রতিবাদ করলেও ক্ষমতা ধর ডিলারের সাথে পেরে উঠেনি তারা। সুত্রে আরও জানা গেছে, উক্ত ডিলারের এহেন কর্মকাণ্ডের বিষয় টি তখন ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে ছিল দশমিনা সদর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও দশমিনা উপজেলা শ্রমিক দলের আহবায়ক মোঃ ওলিউল ইসলাম ( অলি মেম্বার)।এমনকি এ ডিলারের উক্ত ৩০ বস্তা চাল বিক্রির বিষয় টি টিসিবি’র পন্য না পাওয়া সুবিধা ভুগী বঞ্চিতদের ক্ষোভের বহৃি প্রকাশের কথোপকথনের একটি ভিডিও এ প্রতিবেদকের হাতে এসে পৌছেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দশমিনা সদর ইউনিয়নের টিসিবি’র কার্ড ধারী সুবিধা ভুগী অনেকেই জানিয়েছেন মেসার্স হাওলাদার টেডার্স’র প্রোপাইটর অনেক ক্ষমতা দেখান এবং তিনি একজন ধরিবাজ মানুষ।
তবে এ বিষয় পুরোপুরি নিশ্চিত হতে টিসিবির ডিলার মোঃ আবুল কালাম এর মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলে তিনি রিসিভ করেননি পরবর্তীতে অন্য একটি নাম্বার দিয়ে তাকে কয়েকবার ফোন করা হলে সে একবার রিসিভ করেন তখন তার কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন। এখানে আমার একার কথা চলে না এখানে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ব্যবসা বানিজ্য শাখার অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক ও টিসিবির পণ্য তদারিকারক মোঃ সাব্বির হোসাইন এর নির্দেশনা আছে যদি আপনাদের কিছু জানার থাকে তার কাছ থেকে জেনে নেন। এই বলে আবুল কালাম তার মুঠোফোনটি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন তারপরে অনেকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননা
দশমিনার অভিজ্ঞ মহলের অনেকেই নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন বর্তমান সরকারের সময় উক্ত ডিলার অনিয়ম দূর্নীতি করে বীর দর্পে দশমিনা ত্যাগ করে পার পেয়ে গেল। তাকে আইনের আওতায় এনে এ বিষয় শাস্তি দেয়ার কি কেউ নেই?। এ ব্যাপারে জানতে দশমিনা সদর ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ ওলিউল ইসলাম এর মুঠোফোনে কল দিলে তিনি ফোন কল রিসিভ করে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে বলেন মিঠিং এ আছি জানিয়ে মুঠোফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। এ জন্য তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। উক্ত বিষয় জানতে দশমিনা সদর ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ হেলাল উদ্দিন এর মুঠোফোনে একাধিক বার কল দিলেও তিনি ফোন কল রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া যায় নি। এ ব্যাপারে মুঠোফোনে জানতে চাইলে মেসার্স হাওলাদার টেডার্স, প্রোপাইটর মোঃ আবুল কালাম আজাদ, ঢাউন কালিকাপুর পটুয়াখালী বলেন, ব্যাস্ত আছি, কথা বলবো পরে এ কথা বলে মুঠোফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। তার পর দুই দিন ধরে দিনে রাতে কয়েক বার তার মুঠোফোনে এ প্রতিবেদক কল দিলেও তিনি ফোন কল রিসিভ করে নি এবং কল ব্যাক করে নি। এজন্য তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।