সিরাজদিখান উপজেলার চিত্রকোটের মোক্তার হোসেন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী আমলে অবৈধ উপায়ে শত কোটি টাকার সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলে। এসব রক্ষায় ছাত্র আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়ায় ও আহাম্মক বলে পোস্ট দেওয়ায় এলাকা ছাড়া হয়েছে।
জানা যায়, ২০০২ সালে সে জ্বাল টাকার কারখানা দেয়। তার এলাকায় অবৈধ টোল বসিয়ে কোটি টাকার বাণিজ্য করে। গত ৫ আগস্ট ছাত্র আন্দোলনের মুখে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে আওয়ামীলীগের দালাল, প্রেতাত্মা মোহাম্মদ মোক্তার হোসেন। এখনও বহু চেষ্টা করে এলাকায় ফিরে আসতে পারেনি ছাত্র ও এলাকার সাধারণ মানুষের ভয়ে। কারণ গত ১৫ বছর ধরে এলাকার সাধারণ মানুষ তার দ্বারা অত্যাচারিত হয়ে আসছে। বহু মুসলিম-হিন্দু সম্প্রদায়ের জমি দখল করা এবং নিরীহ মানুষ কে মারধর করার মত একাধিক মামলা অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ছাত্র জনতার আন্দোলনে ঘোর বিরোধিতা করেছে। এমনকি তার ফেসবুক আইডিতে উস্কানি মূলক অনেক লেখালেখি করেছে। তাই স্থানীয় জনতা ঐক্যবদ্ধ হয়ে গত ৫ আগস্ট তার বাড়িঘর ভাংচুর করতে আসলে এ খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক পালিয়ে যায়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠক সৌরভ মাঝি বলেন, কুখ্যাত ভূমিদস্যু মোক্তার হোসেন ভুলে গিয়েছিলো সে নিজেও একজন সাবেক ছাত্র। এদেশের সৃষ্টি থেকে শুরু করে প্রতিটি বাকে বাকে ছাত্র সমাজের যুগান্তকারী ভূমিকা রয়েছে। অথচ এই কুখ্যাত আওয়ামী দালাল শিক্ষার্থীদের ন্যায়সঙ্গত সংগ্রাম কে তুচ্ছতাচ্ছল্য করেছে। একে অনতিবিলম্বে গ্রেফতার করে আআইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানাচ্ছি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আরেক সংগঠক সম্পা বলেন মোক্তার ছাত্র আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে ১৮ জুলাই আন্দোলনকারীদের আহাম্মক বলে পোস্ট দেয়। আমাদের কাছে স্ক্রিনশুট আছে। এবিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে দ্রুতই।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠক ইয়ামিন বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে এই কুলাঙ্গার ছাত্রজনতার বিরুদ্ধে ফেইসবুকে স্ট্যাটাসসহ সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করে। ফ্যাসিবাদের ফয়দা লুটে শত কোটি টাকার গাড়ি, বাড়ি, ফ্ল্যাট, ফেক্টরিসহ অবৈধ সম্পদ গড়েছে। এই ফ্যাসিস্টদের আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে এলাকাবাসী জানান, মোক্তার এলাকায় বহু মানুষের জায়গা জমি জবর দখল করে রেখেছে। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের ক্যাডার হওয়ায় কেউ মুখ খোলতে সাহস পেতো না। এমনকি দৈনিক সংগ্রামের সাংবাদিক রিয়াজ মাহমুদ মান্নানকেও হামলা করেছিলো। আবার সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে মামলা করে ভয়ে এলাকা ছাড়া। দলীয় প্রভাব খাটিয়ে আজ শত কোটি টাকার মালিক বনে গেছে। পুলিশের সাথে জোগ সাজোশ করে সে ইউনিয়নের বিএনপি, হেফাজতে ইসলাম, জামায়াতে ইসলাম সহ নিরীহ মানুষ কে শান্তিতে ঘুমাতে দেয়নি। শীঘ্রই তাকে আইনের আওতায় আনা জরুরি।
এ বিষয়ে সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, নতুন আসায় আমি মোক্তারের কারখানা, গাড়ি, বাড়ি ও ফ্ল্যাটের বিষয়ে জানিনা। খতিয়ে দেখে উপরমহলে জানাবো। ছাত্র আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়ায় পলাতক মোক্তারের বাড়িতে কারা হামলা করেছে তাও জানিনা।
আরিফুল ইসলাম খান শেষ দেখান
০১৭৭৮৮০৫১১১
২৫/১০/২৪ই: