।
ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার নবীনগর উপজেলার ইব্রাহিম পুর ইউনিয়ন এর ইব্রাহিম পুর দক্ষিণ পাড়ায় ১৯ অক্টোবর সকাল আনুমানিক দশ টায় গলায় ফাঁস দিয়ে নাঈমা আক্তার নামে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন তার বাবার নাম মকুল মিয়া, লাউরফতেহ পুর ইউনিয়নের বাড়ীখলা গ্রামের বাসিন্দা, তার ২ বছর বয়সী একটি বাচ্চা সন্তান আছে, তার স্বামী দুবাই প্রবাসী মোঃ আবুল হোসেন।
সরেজমিনে গৃহবধূর স্বামীর বাড়ি ইব্রাহিম পুর দক্ষিণ পাড়ায় ঘটনাস্থলে গিয়ে গৃহবধূর শ্বাশুড়ির সাথে কথা বলে জানা যায় সকালে খুবই হাসিখুশি ছিলো নাঈমা তার সাথে কোন ঝগড়াঝাটি ও হয়নি আমি যখন গরুর দুধ সংগ্রহ করছি তখনও নাঈমা আমার সাথে ছিলো পরে আমি দুধ নিয়ে স্হানীয় পালবাড়ি বাজারে চলে যায় এবং তার শ্বশুর সকালে ই চকে চলে যান জমিতে বাড়িতে তখন কেউ ছিলো না আধাঘন্টা পরে খবর পায় সে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে, তার সরিল টা ভালো ছিলো না আমি বাজার থেকে ঔষধ ও ক্রয় করেছি, কেন কি কারণে সে এই কাজ টি করেছে আমি বুঝতে পারছি না,এ সময় তিনি আরো বলেন মেয়ের বাড়ির লোকজন এসে আমাকে মারধর করে আমার কানের ও গলার জিনিস সহ নগদ অর্থ নিয়ে গেছে। এ বিষয় গৃহবধূর স্বামীর বাড়ির পাড়া প্রতিবেশীরা জানান কখনো তার শ্বশুর শাশুড়ী গৃহবধূর সাথে ঝগড়াঝাটি করতে দেখিনি এরা অনেক ভালো মানুষ পূত্রবধূকে এরা মেয়ের মতন করে ই রাখতেন খুবই সুখী পরিবার উনারা, শুনতাম মেয়ে টার ভাই অনেক চাপ দিতো টাকা পয়সা দেওয়ার জন্য বোন কে , আর এ কারণে ই মেয়ে টা বাবার বাড়ীর লোকজনের সঙ্গে অভিমান করে আত্মহত্যা করতে পারে, মেয়ে টা প্রায় বলতো তার শ্বশুর শাশুড়ী অনেক ভালো মানুষ তাদের সাথে আমি বেঈমানী করতে পারবো না।
এ বিষয় এ গৃহবধূর ভাই নাহিদ ও চাচাতো ভাই রাকিব সহ অন্যরা জানান গৃহবধূর ভাই নাহিদ কে বিদেশে নিয়ে ছিলেন ছেলের বোন জামাই এ নিয়ে তার বোনের সাথে ঝামেলা হয়েছে,যার কারণে মরতে হয়েছে তার বোন কে।
তবে বিদেশে অবস্থানরত আবুল হোসেন এর বোন জামাই জানান নাহিদ কে বিদেশে নিয়ে কাজে লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল সে কাজ না করে দেশে পালিয়ে চলে আসে এখনও অনেক টাকা তার কাছে পাবো।
এ বিষয় এ সুরতহাল রিপোর্টকারী নবীনগর থানার এস আই ইমরান জানান ঘটনাস্থলে গিয়ে গৃহবধূর মর দেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসেছি প্রাথমিক ভাবে গৃহবধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে মনে হচ্ছে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে বিস্তারিত জানা যাবে মামলা হয়েছে।