মোঃ হামিদুল ইসলাম
কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি
রাজারহাটে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ।
“নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শানে মানহানীকারী পৃথিবীর যে প্রান্তেই থাকুক, তার একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড- বক্তব্য নিয়ে সমাবেশের আয়োজন করেছেন রাজারহাটের সর্বস্থরের ধর্ম প্রাণ মুসলমান ও ছাত্র-জনতা। সম্প্রতি ভারতের মহরাষ্ট্রে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শানে মানহানী করে বক্তব্য দেয় রামগিরি নামক এক মুশরিক কুলাঙ্গার। তার ঐ বক্তব্যের প্রতিবাদ এ সমাবেশের আয়োজন করা।
কেন্দ্রীয় বাজার জামে মসজিদ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে রাজারহাটের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সোনালী ব্যাংক চত্বরে এসে সংক্ষিপ্ত আলোচনার করা হয়। আলোচনা সভায় রাজারহাট ফাজিল মাদ্রাসার সহকারী অধ্যাপক মাওলানা মামুনুর রশিদ এর সভাপতিতে আলোচনা করেন বাজার জামে মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ রেজাউল করিম সাইফি, উপজেলা না উপজেলক মডেল মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ ওমর ফারুক বিল্লাহ, ইনসাফ কায়েম করি ছাত্র সংগঠনের জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ মাহমুদুর রহমান।
সমাবেশে অধিকার সচেতন ছাত্র সংগঠনের জেলা প্রচার সম্পাদক সোহানুর রহমান শামীম বলেন, মুসলমান অত্যাচারী নয় বরং শান্তিপ্রিয়। তিনি বলেন, মুসলমানরা হিন্দু-ইহুদী-খ্রিষ্টান দ্বারা বরাবর নির্যাতিত। তাহলে মুসলমান কি করে অত্যাচারী হয়? তিনি আরো বলেন আবরার শহীদ হয়েছে ভারতে ইলিশ পাঠনো নিয়ে কথা বলার জন্য সেই ভারতে কি করে ইলিশ যায়?
শেষে দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত কুড়িগ্রার জেলার সহ সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ মুরাদুল মমিনিন জালালি হুজুর। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জেলা ছাত্র আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত এর সাধারণ সম্পাদক মাওলানা কারী আহমদ তালুকদার। শেষে দোয়া মোনাজাতের মাধ্যমে সমাবেশের সমাপ্তি ঘোষনা করা হয়।