বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ, নেতাকর্মীদের ক্ষোভ!
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলা বিএনপির কমিটিতে থেকে আওয়ামী লীগ নেতার নির্বাচনে প্রত্যক্ষ ভাবে সহযোগীতাসহ তার পক্ষে প্রচারণা ও ভোট চেয়ে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে মোজাম্মেল হোসেন পিন্টু নামে এক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে। তিনি বর্তমানে উপজেলা বিএনপির ত্রান ও পুনর্বাসন সম্পাদকের দায়ীত্ব পালন করছেন। লতব্দী ইউনিয়ন বিএনপি ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের অভিযোগ, মোজাম্মেল হোসেন পিন্টু সাবেক এমপি মহিউদ্দিন আহমেদের নৌকার নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর পাশাপাশি ৩য় ধাপে অনুষ্ঠিতব্য ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সাবেক এমপি মহিউদ্দিন আহমেদ সমর্থিত আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আওলাদ হোসেন মৃধার নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা চালিয়েছেন। এমনকি তার ছেলেও মাহি বি চৌধূরীর নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা চালানোর ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে পোষ্ট করেছে। এছাড়া মোজাম্মেল হোসেন পিন্টু বিভিন্ন সময় আওয়ামী লীগের জেলা পর্যায়ের নেতা থেকে শুরু করে উপজেলা পর্যায়ের নেতাদের ফুলের শুভেচ্ছা জানিয়ে রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক সখ্যতা বজায় রাখেন। যা বিএনপির রাজনীতির জন্য ভয়ঙ্কর ও বিতর্কিত মর্মে অভিযোগ নেতাকর্মীদের।
এ ব্যপারে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ আতাউর রহমান হাওলাদার অভিযোগ করে বলেন, তিনি এবং তার ছেলে মাহি বি চৌধুরীর নৌকার নির্বাচন করেছে এবং তারা প্রত্যক্ষ ভাবে গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মহিউদ্দিন আহমেদের পক্ষে নির্বাচন করেছে। ওনারা নৌকার পক্ষে নির্বাচন করেছে যেটা নাকি আমাদের বিএনপির দলীয় সিন্ধান্তের পরিপন্থী। আমি আমার দলীয় ফোরামে ওনার শাস্তি চাই এবং সাংগঠনিক ভাবে তার বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার সে ব্যবস্থা যেন সাংগঠনিক ভাবে নেওয়া হয়।
তবে অভিযুক্ত উপজেলা বিএনপির ত্রান ও পুনর্বাসন সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন পিন্টু তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি মুঠোফোনে বলেন, আওয়ামী লীগের সাথে আমার সখ্যতা আছে এমন কোন প্রমান বা কেউ যদি একটা ছবি দেখাতে পারে তাহলে তাকে ১ লাখ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে। যদি কেউ এমন কোন অভিযোগ করে থাকে তাহলে সেগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মহিউদ্দিন সাহেবকে ফুলের শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন এবং আপনার ছেলে মাহি বি চৌধুরীর নৌকার নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন এমন দুটি ছবি প্রতিবেদকের হাতে এসেছে, দুটি ছবির ব্যপারে জানতে চাইলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে না পেরে স্বাক্ষাতে কথা বলবেন মর্মে তার সাথে দেখা করতে বলেন।
এ ব্যপারে সিরাজদিখান উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম হায়দার আলী মুঠোফোনে বলেন, লতব্দী ইউনিয়নের আমাদের সাধারণ সম্পাদক একদিন আমাকে ফোনে এ ব্যপারে বলেছিলো। আমি তাকে বলেছি যদি আপনার কাছে কোন প্রমাণ থাকে তাহলে আপনি সেগুলো কেন্দ্রে জমা দেন। যদি তথ্য প্রমাণ থাকে তাহলে দল সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিবে। এটা কেন্দ্র দেখবে এখানে আমার কিছু করার নেই।