মো:হামিদুল ইসলাম
কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি
কয়েকদিনের টানা ভারীবর্ষণে তিস্তানদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের প্রায় শতাধিক বাড়ি বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে।ঝুকিতে রয়েছে আরও কয়েকশ পরিবার।
রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়াল ডাঙ্গা ও বিদ্যানন্দের উত্তর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।কাউনিয়া পয়েন্টে পানি বিপদসীমার২৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ায় সৃষ্টি হয়েছে ভয়াবহ বন্যার।বন্যায় পানিবন্দি হয়েছে প্রায় সহস্রাধিক পরিবার।
রবিবার দুপুরে বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের আলমগীর হোসেন, নিশি কান্ত নিরাপদ স্থানে তাদের বসতঘর সরিয়ে নিচ্ছেন।সময় যত যাচ্ছে পানি ততোই বৃদ্ধি পাচ্ছে এতে বন্যা পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে।তলিয়ে গেছে মাছের ঘের,ঘরবাড়িসহ ধানক্ষেত,মরিচ ও মৌসুমি ফসল।বাড়ীতে হচ্ছেনা রান্না,ভরসা একমাত্র শুকনো খাবারে।
বন্যায় পানিবন্দী হয়ে পরেছে উপজেলার ঘড়িয়াল ডাঙ্গা ইউনিয়নের খিতাব খা, বড়দরগা,গতিয়াশম,বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের রামহরি,কালীর মেলা,মৌলভি পাড়া,গাবুর হেলা,তৈয়ব খার তীরবর্তী ও চরাঞ্চলের পরিবারগুলো।রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার খাদিজা বেগম রবিবার দুপুরে খিতাব খাঁ মৌজায় ৪শত পানিবন্দি পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার সামগ্রী বিতরণ করেন।শুকনো খাবার প্রতি প্যাকেটে রয়েছে, চিড়ামুড়ি,বিস্কুট,খাবার স্যালাইন, মোমবাতি, পানি বিশুদ্ধ করন ট্যাবলেট ও গ্যাসলাইট।বিতরণকালে তিনি বলেন পানিবন্দি পরিবারের জন্য দুই মেট্রিকটন(জিআর) চাল বরাদ্দ রয়েছে।বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো: আসাদুজ্জামান,উপজেলা বিআরডিপি কর্মকর্তা উজ্জ্বল কুমার,উপজেলা জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা প্রকৌশলী আরিফুল হক,ঘড়িয়াল ডাঙ্গা ইউপি সদস্য,সাদেকুল ইসলাম,মামুনুর রশীদ।কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড(পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, রোববার সকাল ৯টায় কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে সন্ধ্যার মধ্যে তিস্তার পানি কমতে শুরু করবে।