দীর্ঘ ১৫ বছরের শাসনের অবসান ঘটিয়ে গত ৫ ই আগষ্ট দুপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের খবর প্রকাশ হওয়ার পর পরেই জেলা জুড়ে আনন্দ মিছিল বের করে হাজারো ছাত্র জনতা। এর মধ্যেই জেলা ও উপজেলা শহরের বেশ কয়েকজন আ’লীগ নেতা কর্মীদের বাস ভবন, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, লুটপাট ভাঙচুর অগ্নিসংযোগ করেন দুর্বৃত্তরা। ফলে আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীদের মধ্যে এক ধরনের ভীতি সঞ্চার হওয়ায় তারা আত্মগোপনে চলে গেছেন।
সরেজমিনে গিয়ে বেশ কয়েকজন আ’লীগ নেতাদের বাসায় গিয়ে তালাবদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। এছাড়া আত্নগোপনে থাকা নেতা কর্মীদের ব্যাবহৃত মোবাইল ফোনগুলো বন্ধ পাওয়া যায়। তাদের প্রতিবেশীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, শেখ হাসিনার পদত্যাগের খবর প্রকাশ পাওয়ার সাথে সাথে অধিকাংশ নেতা কর্মীরা পরিবার সহ আত্মগোপন করেন।
সবচেয়ে বেশি বেকায়দায় পড়েছে তৃণমূল পর্যায়ের নেতা কর্মীরা।নোয়াখালী জেলার চাটখীল উপজেলার খিলপাড়া ইউনিয়ন আওয়ালীগের প্রচার সম্পাদক আবুল খায়ের সোহেলের বাড়ি ঘর ভাংচুর এবং তার উপর হামলা করেছে দুর্বৃত্তরা। সোহেল জানান আমি আওয়ামী লীগ করার কারনে এই হামলা করা হয় এবং আমাকে বাড়ি ঘর চেড়ে এবং দেশ ত্যেগ না করলে আমার পরিবার এবং আমাকে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দেয় দুর্বৃত্তরা। আহত সোহেল চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা গ্রহণ করেন। চিকিৎসা নিয়ে প্রাণ ভয়ে পরিবারসহ তিনি এখন এলাকাছাড়া রয়েছেন। আবুল খায়ের সোহেল জানান আমারা ক্ষমতাসীন হয়েও তৃণমূল পর্যায়ের নেতা কর্মীরা কোন সুবিধা ভোগ করিনি, কারও সাথে অন্যায় করিনি, একটি কুচক্রী মহল আমাদের বাড়িতে হামলা ও লুটপাট চালিয়ে আসছে ।
হামলাকারীদের রোষানলে পড়েছে আমার পরিবার। এর আগে সাবেক সংসদ সদস্য এইচ এম ইব্রাহিমের বাড়িতেও হামলা এবং অগ্নিসংযোগ করা হয়। আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িত বেশ কয়েকজনের বাড়িতে হামলা করা হয়। দুর্বৃত্তরা অনেকের বাড়িতে হামলা ও লুটপাট চালিয়েছে । আমি ও আমার পরিবারের সদস্যরা এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
এদিকে দেশের চলমান পরিস্থিতিতে পুলিশ বাহিনীর কর্মবিরতির কারণে এবং যথেষ্ট পরিমাণ পুলিশ পোর্স থানায় না থাকায় জন নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে।