মোঃ জাবেদ
ব্রাহ্মণবাড়ীয়া প্রতিনিধি
নবীনগর উপজেলার ২১ নং কাইতলা উত্তর ইউনিয়ন এর ব্রাহ্মণহাতা গ্রামের বাসিন্দা মোঃ বোরহান উদ্দিন ও আরকান মিয়া কে, নয়াগাঁও গ্রামের জনৈক নুরুল ইসলাম এর কন্যা ব্রাহ্মণহাতা গ্রামের গৃহবধূর মৃত্যু কে কেন্দ্র করে যৌতুকের জন্য মারধর করিয়া খুন ও সহায়তা করার অপরাধ এনে খুনের মামলায় এ দুইজন কে ফাঁসিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
২৫ সেপ্টেম্বর সরেজমিনে গিয়ে গৃহবধূর পরিবার ও মামলার আসামীদের সাথে কথা বলে জানা যায়।
নয়াগাঁও গ্রামের পুতুল বেগমের বিয়ে হয় ব্রাহ্মণহাতা গ্রামের মন্দির বাড়ীর বাবরু মিয়ার ছেলে আলমগীর হোসেন এর সাথে। সংসার জীবনে অটোরিক্সা ক্রয় করা কে কেন্দ্র করে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়াঝাটি হলে গৃহবধূ পাশের বাড়ীর তার স্বামীর চাচাতো ভাই কবির এর নিকট বিচার দিতে গিয়ে ফেরার পথে অসুস্থ হয়ে তিতাস নদীর ব্রীজের গোড়ায় পাকা রাস্তার উপর পড়ে যান। তখন গৃহবধূর স্বামী আলমগীর সহ আরও লোকজন তাকে ডাক্তারের কাছে নেওয়ার পথে গৃহবধূর মৃত্যু হয় বলে স্বামীর বাড়ি ও স্থানীয়রা জানান।
উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিহত গৃহবধূর ছোট ভাই ৯ জন কে আসামী করে যৌতুকের জন্য নির্যাতন করে খুন করেছে অভিযোগ এনে নবীনগর থানা একটি হত্যা মামলা করেন।
ঐ মামলায় গৃহবধূর স্বামীর পরিবারের সাতজন সহ বোরহান উদ্দিন ও আরকান মিয়া কে ও আসামী করা হয়।
এ বিষয় এ মামলার ৮ নং আসামী বোরহান উদ্দিন বলেন আমরা হচ্ছি ব্রাহ্মণহাতা গ্রামের মাইজপাড়ার বাসিন্দা আর নিহত গৃহবধূর স্বামীর বাড়ি হচ্ছে ব্রাহ্মণহাতা গ্রামের মন্দির বাড়ীর গোত্রের বাসিন্দা নিহত মহিলার স্বামীর বাড়ির সাথে আমাদের রক্তের কোন সম্পর্ক নেই। আমরা সার্বক্ষণিক নিজেদের ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় থাকি।তাদের সাথে তেমন আমাদের চলাফেরা ওঠাবসা হয়না। তাদের পারিবারিক সমস্যার বিষয়ে আমরা কখনো অবগত নই।
আমাদের কে আর্থিক মানসিকভাবে হয়রানি ও কাবু করার জন্য খুবই প্রভাবশালি ব্যক্তি ভূমিদস্যু রিপন মিয়া ও তার বাহিনীর লোকজন ষড়যন্ত্র করে এই মিথ্যা মামলায় আমাদের কে ফাঁসিয়ে দিয়েছে। কারণ ভূমিদস্যু রিপন মিয়া আমার ও আরকানের জমিজমা জোরপূর্বক দখল করে নেয়ার বিষয়ে বিরোধ চলছে সেই আক্রোশে রিপন মিয়া ও তার লোকজন আমাদেরকে এই মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দিয়েছে এ মামলার সাথে আমরা কোন ভাবে জড়িত নয়,আমরা এ মামলার সঠিক তদন্তের দাবী জানাচ্ছি।আপনি (বোরহান উদ্দিন) আইনের দ্বারস্থ কেন হচ্ছেন না জানতে চাইলে তিনি জানান রিপন মিয়া অঢেল টাকার মালিক, উনার বিশাল বাহিনী আছে,আইন,থানা প্রশাসন সবই উনার কথা শুনে। দেখুন আমাদের গ্রামের সেলিম দারোগা রিপন মিয়া ও তার বাহিনীর ভয়ে প্রায় দুই বছর যাবত উনার নিজ বাড়ীতে আসতে পারছেনা। উনার বিরুদ্ধে ও আনেকগুলো মিথ্যা মামলা অভিযোগ দিয়েছে রিপন মিয়া তার দলীয়বাহীনির লোকজন দ্বারা।অনুমান ২০২০ সালে রিপন মিয়া প্রকাশ্যে আমাদের গ্রামের বাজারে সেলিম দারোগা ও বাচ্চু দারোগা কে হত্যার হুমকি দেয়, আর আমরাতো সাধারণ মানুষ। কতো মানুষের জমিজমা জোরপূর্বক দখল করে নিয়েছে কতো মানুষ কে পঙ্গু করেছে,কতো মানুষ এখনও ঘরবাড়ি ছাড়া হয়ে আছে।
এ বিষয় এলাকার লোকজন ও সাবেক বর্তমান ইউপি সদস্য জানান বোরহান উদ্দিন ও আরকান মিয়া গৃহবধূর মৃত্যুর সাথে জড়িত না কারণ গৃহবধূর স্বামীর পরিবারের সাথে তাদের তেমন চলাচল নেই এরা দুই গোত্রের বাসিন্দা এদের দুইজনের নামে মামলা দেওয়া টা ঠিক হয়নি এদের কে হয়রানির করার জন্য প্রভাবশালী একটি মহল উঠে পড়ে লাগছে।
এ বিষয় এ জানতে রিপন মুন্সি কে ফোন দিলে ফোনের সংযোগ না পাওয়ায় বিস্তারিত জানা যায় নি।
এ বিষয় এ মামলার বাদী সোহেল এর সাথে কথা বললে তিনি প্রকাশ্যে কিছু বলতে নারাজ তিনি বলেন গ্রামের সাহেব সরদাররা মিলে বসে বিষয় টি সমাধান করে দিবেন বোরহান উদ্দিন ও আরকান মিয়া আসামী কেন জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে কোন সারা শব্দ না করে নিশ্চুপ থাকেন এবং এড়িয়ে যান।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই রেজাউল কে ফোনে না পাওয়ায় বিস্তারিত জানা যায় নি।