মোঃ জাবেদ আহমেদ জীবন নবীনগর উপজেলা ব্রাহ্মণবাড়ীয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার মেঘনা নদীতে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই প্রশাসনের নাকের ডগায় চলছে অবাধে বালু উত্তোলন। ফলে হুমকির মুখে পড়েছে ৭২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত বেড়িবাঁধ। ইজারার শর্ত অনুযায়ী ১০টি ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করার কথা থাকলেও সেখানে প্রায় শতাধিক ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করায় বেড়িবাঁধের ৫০ ফুট এলাকা জুড়ে হঠাৎ ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন নদীর তীরবর্তী গ্রামগুলোর মানুষজন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের নদীর তীরবর্তী গ্রামগুলো নদী গর্ভে বিলীন হওয়া থেকে রক্ষায় ২০১৮ সালে সোনাবালুয়া ঘাট থেকে এমপি টিলা পর্যন্ত ৭২ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি বেড়িবাঁধ নির্মাণ করে পাউবো।
মেঘনার জাফরাবাদ মৌজার নতুনচর এলাকায় ৩২ একর দীর্ঘ একটি সুনির্দিষ্ট সীমানায় বালুমহাল ইজারা দেয় জেলা প্রশাসন। জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন শোভনের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান মুন্সী এন্টারপ্রাইজ এই বালু মহালের ইজারা পায়। ইজারার শর্ত ভঙ্গ ও সীমানা অতিক্রম করে দিনে ও রাতে বালু উত্তোলন করছেন মুন্সী এন্টারপ্রাইজ নামের এই প্রতিষ্ঠান। এতে করে নদীর তীরবর্তী সোনাবালুয়া ঘাট, এমপি টিলা, নুরজাহানপুর, ঈদগা মাঠ ও কবরস্থানসহ নদী পাড়ের গ্রামগুলো নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এ বিষয়ে বড়িকান্দি ইউনিয়নের মুক্তারামপুর গ্রামের হুমায়ুন মিয়া বলেন, সীমানার বাইরে এসে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করায় বেড়িবাঁধ ভেঙে পরেছে। হেরাই ভাঙে আবার হেরাই ভরে। প্রশাসনের লোকদের ম্যানেজ করে হেরা বালু উত্তোলন করেন। এভাবে চলতে থাকলে নদীর পাড়ের গ্রামগুলো বিলীন হয়ে যাবে।
এ বিষয়ে বালু মহালের কেয়ারটেকার ছাদেক মিয়া জানান, গত শনিবার সন্ধ্যায় হঠাৎ বেড়িবাঁধ ভেঙে নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। বালু মহালের পক্ষ থেকে ৬৫ ট্রলি কংক্রিট দিয়ে কিছু অংশ ভরাট করে দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয় এ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর ফরহাদ শামীম জানান অবৈধভাবে বালুউত্তোলন কারিদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হবে।