শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:১৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
শিরোনাম
রাউজান প্রেসক্লাবের নব-নির্বাচিত কমিটির সাথে উপজেলা প্রশাসনের মতবিনিময় সভা কুলিয়ারচরে শিশুদের ঝগড়াকে কেন্দ্র করে গ্রাম পুলিশসহ ৩জন আহত ঠাকুরগাঁওয়ে সাফ জয়ী তিন নারী ফুটবলারকে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সংবর্ধনা ভয়াল সিনেমাটি সবার জন্য উন্মুক্ত সিরাজদিখানে নবাগত সহকারী পুলিশ সুপারের সাথে ঝিকুট ফাউন্ডেশনের মতবিনিময় জনগণের অধিকার ও ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনা হবে- ছাগলনাইয়া বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম রাউজান প্রেসক্লাবের নব-নির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত দাকোপের সাহেবের আবাদ শ্রীশ্রী কৃষ্ণের রাসমেলায় চতুর্থদিনে সাংকৃতিক সন্ধ্যা ঘোপাল যুবদলের লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ ঠাকুরগাঁওয়ে তিন জাতীয় দিবস উদযাপনে প্রস্তুতিমূলক সভা ঠাকুরগাঁওয়ে মাওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকীতে ইএসডিও’র আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল ছাগলনাইয়ায় ৩০ কেজি গাঁজা উদ্ধার আটক ০১ রাজনীতি চিরতরে বন্ধ করতে হবে। দেশ চালাবে জাতীয় ঐক্যের সরকার। সনাতনীদের অস্তিত্ব রক্ষার্থে সকলকে একত্রিত হতে হবে ছাগলনাইয়া সেচ্ছাসেবক দলের লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ
বিজ্ঞপ্তি :
বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রানালয়ে আবেদনকৃত।

পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আইজিপি পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স,ডিআইজি চট্টগ্রাম রেঞ্জ দুর্নীতি দমন কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরে অভিযোগ

মোঃ জাবেদ আহমেদ নবীনগর উপজেলা ব্রাহ্মণবাড়ীয়া প্রতিনিধি / ১৪৯৫ সংবাদটি পড়েছেন
প্রকাশ: শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৯:৫৭ অপরাহ্ণ

 

মোঃ জাবেদ আহমেদ
নবীনগর উপজেলা ব্রাহ্মণবাড়ীয়া প্রতিনিধি

নবীনগর উপজেলার লাউরফতেহ পুর ইউনিয়ন এর বাশারুক গ্রামের বাসিন্দা
পুলিশ কনস্টেবল মোঃ বাদল মিয়ার বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকা ঘুষ,অনিয়ম, মাদক ব্যবসা, দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের বিষয়ে গ্রামবাসীর পক্ষে অভিযোগ করেছেন একই গ্রামের বাসিন্দা মোঃ সাদেক নামের এক ব্যাক্তি।
অভিযোগকারীর অভিযোগ পত্রে উল্লেখ্য করা হয়েছে যে,পুলিশ
কনস্টেবল মোঃ বাদল মিয়া পিতামৃত নোয়াব আলী গ্রাম বাশারুক, পোঃ পাঁক হাজীপুর, থানাঃ নবীনগর,জেলাঃ ব্রাহ্মণবাড়ীয়া তিনি একজন পুলিশ কনস্টেবল হিসেবে খাগড়াছড়ি পুলিশ লাইনে (বর্তমানে মেহমান খানায়) কর্মরত আছেন।
কুমিল্লা পুলিশ লাইন ( ইন সার্ভিস) থেকে কিছুদিন পূর্বে তাকে খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশে বদলি করা হয়েছে।
ইতি পূর্বে তিনি কুমিল্লা জেলা ডিবি পুলিশে কর্মরত থাকা অবস্থায় ডিবি পুলিশ কতৃক উদ্ধারকৃত ইয়াবা ও অন্যান্য মাদকদ্রব্য নিজ এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে আসতেন এবং তাহার লোকজনের মাধ্যমে বিক্রি করে অবৈধ উপায়ে কোটি কোটি টাকা অর্জন করেন এবং গ্রাম ও এলাকায় প্রায়-শত বিঘা জায়গা জমি, কুমিল্লায় ১টি ও ঢাকায় দুটি ফ্লাট বাড়ীসহ নামে বেনামে ( ভাই,শশুর,শ্যালক, স্ত্রী, মায়ের নামে প্রথমে ক্রয় পরে দানপত্র) অনেক জায়গা সম্পত্তির মালিক হয়েছেন ।
নবীনগর উপজেলা শহর ও তৎসংলগ্ন বিভিন্ন জায়গাতেও নামে-বেনামে অনেক জায়গা জমি ক্রয় করেছেন।
এলাকায় আসলে চলাচলের জন্য নিজস্ব প্রাইভেট কার রয়েছে তার,
বিভিন্ন ব্যাংকে তাঁর নামে ও তাঁর স্ত্রী,শ্বশুর ও ভাই এবং নিকটাত্মীয় স্বজনের নামে লাখ লাখ টাকার এফডিআর সঞ্চয়পত্র রয়েছে বলে অভিযোগ পত্রে উলেখ্য করেন।
এ বিষয় এ জানতে ১৩ সেপ্টেম্বর অভিযোগকারী সাদেকের কাছে গেলে অভিযোগ বিষয় এ জানতে চাইলে তিনি বলেন। বাদল পুলিশ
তিনি তাঁর নিজ গ্রাম বাশারুক সংলগ্ন রাধানগর এলাকায় অবৈধ ভাবে লাখ লাখ টাকার বালু ব্যবসা পরিচালনা করিতেছেন।
তিনি বিগত দিনে প্রায় সময়ই বাড়ীতে অবস্থান করিয়া পুলিশের চাকুরী করার সুবাদে গ্রাম ও এলাকায় ক্ষমতার প্রভাব ও দাপট দেখিয়ে অবৈধ ড্রেজিং ব্যবসা পরিচালনার মাধ্যমে প্রায় -শত বিঘা ফসলি জমির মাটি কেটে বিক্রি করে দিয়েছেন যার ফলে কৃষক এবং কৃষি জমির ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে, এ বিষয় কি কখনো কৃষি অফিসে কোন অভিযোগ করছেন কি না জানতে চাইলে তিনি আরো বলেন কৃষকেরা অভিযোগ দিয়েও কোন ধরনের প্রতিকার না পেয়ে বড়ই নিরুপায় অবস্থায় দিনাতিপাত করিতেছেন।
গ্রাম ও এলাকায় অবৈধ অর্থ দিয়ে তিনি একটা বিরাট সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মাদক ব্যবসা,মাদক পাচার, জমির মাটি কাটা ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে গ্রাম ও এলাকার যুব সমাজের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে আসছেন।
তাঁর এসব অবৈধ অর্থ বিত্ত ক্ষমতার কারণে গ্রামে প্রবীন লোকদেরকে তিনি প্রতিনিয়ত অপমান ও অপদস্ত করে আসছেন যার দরুন আমার গ্রামে যে কোন সময় বড় ধরনের সংঘাত সৃষ্টি হতে পারে।
বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর একজন সদস্য হিসেবে তাহার এহেন কার্যকলাপ সমাজ বিরোধী, রাষ্ট্র বিরোধী এবং দেশের প্রচলিত আইনের পরিপন্থী।
তার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ সরেজমিনে তদন্ত কালে সম্পূর্ণ ভাবে সত্য বলে প্রমানিত হবে।
উক্ত পুলিশ কনস্টেবল বাদল মিয়ার বিরুদ্ধে মহা পুলিশ পরিদর্শক বরাবরে ঢাকা জেলার সাভার থানার মোঃ নূর হোসেন ও মোঃ মোবারক হোসেন নামে দুই ব্যক্তি তাদের ছেলেকে পুলিশে চাকুরী পাইয়ে দিবে মর্মে প্রত্যেকের নিকট থেকে দশ লক্ষ টাকা করে সর্বমোট বিশ লক্ষ টাকা গ্রহণ করেছেন মর্মেও অভিযোগ করা আছে বলে জানান তিনি। এ সময় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যাক্তি জানান বাদল পুলিশের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ গুলো সত্য।
এ বিষয় জানতে বাদল পুলিশ কে একাধিকবার ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় বিস্তারিত জানা যায় নি।


এ বিভাগের আরও সংবাদ

আর্কাইভ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর
Don`t copy text!
Don`t copy text!