শুক্রবার ১৩ই সেপ্টেম্বর রেল-নৌ যোগাযোগ ও পরিবেশ উন্নয়ন গন কমিটির উদ্যোগে রাজারহাট রেল স্টেশনে সকাল ৮ টায় রাজারহাট সম্মিলিত ছাত্র জনতার ব্যানারে গন কমিটির অন্যতম নেতা খন্দকার আরিফের নেতৃত্বে কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেসে ট্রেনের যাত্রা বিরতির দাবীতে মানববন্ধন করা হয়।
মানববন্ধনে আন্দোলনকারী দুই ঘন্টা কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেনটি অবরোধ করে রাখেন।বক্তরা তাদের দাবী জানিয়ে বলেন দীর্ঘদিনে আন্দোলনে ফসল হিসেবে গত ১৬ই অক্টোবর ২০১৯ সালে কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেসটি সাধারণ মানুষের জন্য চালু করা হয়।অথচ কুড়িগ্রামের সেই সাধারণ মানুষ এই ট্রেনের সুবিধা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস টি রাজারহাটে যাত্রা বিরতি না করলেও রংপুর,নওগা সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় যাত্রা বিরতি করছেন যা চরম বৈষম্যে।এই বৈষম্য দূর করতে আজকের এই অবরোধ কর্মসূচী পালন করা হয় বলে গন কমিটির অন্যতম নেতা খন্দকার আরিফ জানান।মানববন্ধন ও অবরোধ কর্মসূচী চলাকালে কুড়িগ্রাম জেলা থেকে ক্যাপ্টেন মারুফের নেতৃত্বে এক প্লাটুন সেনাবাহিনী রাজারহাট রেল স্টেশনে আসেন এবং আন্দোলনকারীদের সাথে মত বিনিময় করে তাদের যৌক্তিক দাবীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে যাত্রীবাহী কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেনটি ছেড়ে দিতে অনুরোধ জানান।পরে গন কমিটির নেতা খন্দকার আরিফ উপস্থিত আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্য বলেন,কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সাথে তার কথা হয়েছে আজ শুক্রবার বিকেল ৪ টায় কয়েকজন আন্দোলনকারীকে ডিসি অফিসে ডেকেছেন,আমাদের সাথে আলোচনা করে রাজারহাটে কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেসের যাত্রা বিরতির বিষয় টি নিশ্চিত করবেন।তাই সকল কে অবরোধ প্রত্যাহারের আহবান করলে সবাই তা মেনে নিয়ে কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেন টির সামন থেকে সরে যান।পরে ট্রেন টি তার গন্তব্য ঢাকার উদ্দেশ্যে চলে যায়।এসময় রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান উপস্থিত থেকে আন্দোলনকারীদের সাথে মধ্যস্থতা করে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী পালনে সহযোগীতা করেন।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গনকমিটির নেতা হামিদুল ইসলাম,বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাজারহাটের সমন্বয়ক আরিফুল ইসলাম,স্থানীয় সমাজ সেবক মোস্তফা জামান লেলিন এবং গণকমিটির সংগঠক মোহাম্মদ আলী মন্ডল এটম প্রমুখ।