রবিউল আলম গাজীপুর প্রতিনিধি
গাজীপুর মহানগরীর পূবাইলে দোকান বাকি না দেওয়ায় উল্টো দোকাননীকে দুধ ও গরম পানি ঢেলে নূর ইসলাম (৪২) নামে এক দোকানীকে ঝলসে দিয়েছেন ঐ একই এলাকার নাসির উদ্দিন এর ছেলে সোহেল, ভাতিজা রহিম ও মাসুদ
এ ঘটনায় নূর ইসলামের শ্যালক আয়নাল খান বাঁদী হয়ে ৭জনকে আসামি করে পূবাইল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এতে আসামী করা হয়েছে,নাছির উদ্দিন (৬৫) সহ তার ৪ ছেলেকে এছাড়াও তার ভাই বাছির উদ্দিনের ছেলে রহিম সর্দার ও রতন সরদার,গিয়াস উদ্দিনের ছেলে মোঃ মাসুদ সরদারকে।
সকলের ঠিকানা ৪১ নং ওয়ার্ডের খিলগাঁও কামারিয়া এলাকায়।
এজহার সূত্রে মামলার বাদী আয়নাল খান জানান,নুর ইসলাম মোল্লা (৫০) আমার আপন বড় বোন জামাই।সে দীর্ঘ দিন ধরে খিলগাঁও উত্তরপাড়া রাস্তার পাশে তার ক্রয়কৃত জমিতে দোকান ঘর নির্মাণ করিয়া ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে।এর ধারাবাহিকতায় গত ৪ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় আমার বড় দুলা ভাই নূর ইসলাম প্রতিদিনের ন্যায় তার ছেলের নামীয় আসিফ এন্টার প্রাইজ নামক মুদি দোকান করাকালিন সময়ে বিবাদী সোহেল দোকানের সামনে গিয়া বাকী চায়। আমার বোন জামাই বাকী না দেওয়ায় সে আমার বোন জামাইয়ের দোকান ভাংচুর শুরু করে এতে প্রায় ৮০,০০০/-(আশি হাজার) টাকার ক্ষতিসাধন হয় এবং আমার দুলা ভাই নূর ইসলাম মোল্লার শরীরে বিভিন্নস্থানে ১নং বিবাদী হত্যার উদ্দেশ্যে গরম পানি ও গরম দুধ ঢালিয়া দিয়া ঝলসে দেয়। ঘটনাস্থলের নিকটে থাকা বিবাদীগন বেআইনী জনতাবছে লাঠি সোঠা লইয়া ঘটনাস্থলে গিয়ে সোহেলের সহিত মিলিত হইয়া তাহারা আমার বড় দুলা ভাইয়ের বিপক্ষে কথা বলা শুরু করে এবং দুলা ভাইকে দোকানের সামনে এলোপাথারী কিল ঘুষি মারতে থাকে। আমার বড় বোন জামাইয়ের চিৎকারে প্রথমে আমার বোন শান্তনা ও আমার ছোট দুলা ভাই ইউসূফ মোহাম্মদ সাইয়াদ আগাইয়া গেলে বিবাদীগন আমার ছোট দুলা ভাইকে এলোপাথারী কিল ঘুষি মারিয়া নীলা ফুলা জখম করে এবং রডদিয়ে ঢিল মারিয়া গুরুত্বর জখম করে।বিবাদী আমার দুলা ভাইয়ের হাতে থাকা একটি আইফোন ১৫ প্রো-মেক্স, যাহার মূল্য অনুমান ১.৫৬,০০০/-টাকা (ইন্ডিয়ান মূল্য) এবং একটি স্যামস্যাং ৪৬ মডেলের স্মার্ট ফোন, যাহার মূল্য অনুমান ১,৬৫,০০০/-টাকা (ইন্ডিয়ান মূলা) নিয়ে নেয়। আমার বোন শান্তনা আমার দুলাভাইকে বাঁচাতে আগাইয়া গেলে বিবাদীরা আমার বোন শান্তনাকে এলোপাথারী কিল ঘুষি মারিয়া নীলা ফুলা জখম করে এবং আমার বোনের গলায় থাকা পাঁচভরী ওজনের একটি মঙ্গল সূত্র ইন্ডিয়ান চেইন, যাহার মূল্য অনুমান ৬,০০,০০০/- (ছয় লক্ষ) টাকা নিয়ে নেয়। আমার বোন ও দুলা ভাইয়ের চিৎকারে আমি, আমার ভাতিজা নিশাদ, বোনের মেয়ে খোশবো আগাইয়া গেলে বিবাদীগন আমাদেরকে এলোপাথারী কিল ঘুষি মরিয়া শরীরের বিভিন্নস্থানে নীলা ফুলা জখম করে। আমাদের সকলের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে আসিয়া তাদের উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দিন আহম্মদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
পূবাইল থানার ওসি মো, সাখাওয়াত হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ইতিমধ্যে এ বিষয়ে থানায় মামলা নেওয়া হয়েছে, তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।