রবিউল আলম গাজীপুর প্রতিনিধি
গাজীপুরের কালিগন্জে বিএনপি ওয়ার্ড সভাপতি এমদাদুল হক আকলুকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ রয়েছে।
তবে স্থানীয়রা বলছে, স্থানীয় রাজনৈতিক ক্ষমতার প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপি দুই গ্রুপের সংঘর্ষে এ ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে কালিগন্জ বিএনপি’র দাবী, আ.লীগের লোকজন পিটিয়ে তাকে হত্যা করেছে।
নিহত এমদাদুল হক আকলু (৬৫) গাজীপুরের কালিগন্জ উপজেলার মুক্তারপুর ইউনিয়ন ৬ নং ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি।
আজ শুক্রবার দুপুর ১২ টায় কালিগঞ্জ উপজেলাধীন মুক্তারপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড স্থানীয় নাশু মার্কেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
কালিগন্জ থানার পরিদর্শক তদন্ত মারুফ হোসেন বলেন, একজন বিএনপি নেতা খুন হয়েছে। লাশ শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রয়েছে। হাসাপাতালের প্রয়োজনীয় কাজ শেষে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে।
তিনি বলেন, সংঘর্ষে বিএনপি, আলীগ মিক্স আছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
নিহত এমদাদুল হক আকলু দলীয় কোন্দল নিহত হয়েছে কিনা জানতে চাইলে গাজীপুর জেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক শাহ রিয়াজুল হান্নান জানান, কালিগন্জ উপজেলা বিএনপির সাথে যোগাযোগ করে বিস্তারিত জেনে নিন।
বিএনপি কালিগঞ্জ উপজেলা সাধারণ সম্পাদক বাবলু মিয়া বলেন, এমদাদুল হক আকলুকে গত আন্দোলনের সময় এলাকার আ.লীগের লোকজন ধরে পুলিশে দিয়েছিলো। আজ সকালে আকলু বাড়ী থেকে দোকানে যাওয়ার পথে ১০/১৫ জন আওয়ামী লীগের লোকজন তাকে বেদরক পিটিয়ে মেরে ফেলেছে।
তিনি আরো বলেন, আ.লীগ নেতা তরুন ও সবুর মেম্বারের নেতৃত্বে এ ঘটনা ঘটেছে।
কালিগন্জ আলীগ নেতৃবৃন্দের সাথে যোগাযোগ চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি।
কালিগন্জে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাক্তার মন্জুর এলাহি জানান, এমদাদুল হক আকলুকে হাসপাতালে আনার আগেই মারা গেছে।
এ ঘটনায় হাসপাতালে আরো চারজনকে আহত অবস্থায় আনা হয়েছে।
আহতরা হলো, রাথুরা গ্রামের জসিম উদ্দিনের ছেলে জহিরুল ইসলাম (৩৫), ফাইজ উদ্দিন শেখের ছেলে মনজু শেখ (৬৫), রামচন্দ্রপুর গ্রামের ইসমাইল শিকদারের ছেলে সীমান্ত শিকদার ইমন (২৪) এবং বজলুর সরকারের ছেলে মেহিদী হাসান সরকার (৩১)।