মিরসরাই(চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
এখন বাংলাদেশে আর আগেরমত উঁচু-নিচু ভেদাভেদ হবে না। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের পুনর্বাসনে বড় মিয়া, ছোট মিয়া বিবেচনা যেন না হয়। চৌধুরী বাড়ির রাস্তা আগে হবে, কুমার বাড়ির রাস্তা পরে হবে এমন বৈষম্য যেন না হয়। যারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ তারাই অগ্রাধিকার পাবে। আইনের কাছে সবাই সমান থাকবে। রাস্ট্রএবং সরকারের সু-স্পষ্ট বিভাজন থাকবে। রাস্ট্র চিরস্থায়ী চিরন্তন। রাষ্ট্র তার আইন এবং বিধি দ্বারা সুরক্ষিত থাকবে। এর ব্যত্যয় যারা করবে তারা রাস্ট্রের দায়িত্ব থেকে চলে যাবে। যেখানে আর কোনো বৈষম্য থাকবে না।’ রোববার (১ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে বন্যা পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে মতবিনিময় সভায় অন্তবর্তীকালীন সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বীর প্রতীক এসব কথা বলেন।বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে তিনি আরো বলেন, ‘বন্যায় যারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তাদের চিন্তার কোনো কারণ নেই। যথাযথ তালিকা হচ্ছে। আপনাদের ভাবনার চাইতেও সরকার আরও ভালো পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।’ কারো প্রতি আমাদের কোন বিদ্বেষ নেই। দেশটি সবারই, সবাই মিলে এই দেশ গড়তে হবে। দেশে কাজ করার পরিবেশ তৈরি হয়েছে। কেউ বলতে পারবেনা কাজ করার সুযোগ নেই। মানুষের সেবা দেওয়া একটি নেয়ামত। সবার ভাগ্যে এটি জুটেনা। আমাদের দেশ আমরা নিজেরা গঠবো।
এসময় প্রশাসনের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, মিরসরাইতে প্রশাসনে অনেক সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। আপনারা জনগণের সেবা করেন। তাদেরকে নিয়ে বিভিন্ন প্রোগ্রাম করুন। জনগণ দেশের মালিক। তাদের বিরদ্ধে গেলে থানা ছেড়ে চলে যেতে হবে। আর জনগণের সাথে প্রশাসনের সম্পর্ক ভালো হলে দেশ গড়তে সহজ হবে।
এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজা জেরিন, সেনাবাহিনীর ইফনিট কমান্ডার লে. কর্ণেল আল মামুন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) কর্মকর্তা প্রশান্ত চক্রবর্ত্তী, সহকারী পুলিশ সুপার (মিরসরাই সার্কেল) মনিরুল ইসলামসহ উপজেলার বিভিন্ন কর্মকর্তা ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।