রবিউল আলম গাজিপুর প্রতিনিধি
গাজীপুর মহানগরের পূবাইলে রাস্তার জন্য রাখা জমিতে কলাগাছ রোপণ করা নিয়ে মারামারি প্রতিপক্ষের আঘাতে গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়েছে স্বামী স্ত্রীসহ প্রতিপক্ষের একজন।
ঘটনাটি ঘটে ৩৯ নং ওয়ার্ড হায়দরাবাদ মাওরারটেক এলাকায়। এবিষয়ে আঘাত প্রাপ্ত বাদী মরিয়ম পূবাইল থানায় ৫ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে শনিবার দুপুরে মরিয়ম জানান, পূবাইল থানাধীন ৩৯ নং ওয়ার্ড হায়দ্রাবাদ মাওরারটেক সাকিনস্থ আমার স্বামী মিলন মিয়ার নামীয় ২ কাঠা জমি রয়েছে। সেই জমি থেকে রাস্তার জন্য ছেড়ে দেওয়া জমিতে ২০ আগস্ট কয়েকটি কলাগাছ রোপন করেন পরে ২৬ তারিখ বিকাল তিনটার দিকে কলাগাছ কাটার চেষ্টাকালে বা কে উঠিয়েছেন জানতে চাইলে কিছু জানেনা বলে প্রতিপক্ষগণ হুমকি দিয়ে চলে যায় এবং ঐদিন সন্ধ্যার পর রাত সাড়ে আটটার দিকে গাফফার, মনির হোসেন, দেলোয়ার টুকু মিয়া ,আমির হোসেন সহ মরিয়মের বাড়ির গেটের সামনে প্রবেশ করে পরিবারের সকলকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে আমি কারণ জিজ্ঞেস করলে গাফফার ছুরি দিয়ে আমার মাথার সামনে পিছনে কোপ দিয়ে রক্তাক্ত যখম করে পরে আমার স্বামী মিলন মিয়া এগিয়ে আসলে মনির চাপাতি দিয়ে মাথার ডান পাশে কোপ দিয়ে রক্তাক্ত যখম করে দেলোয়ার ও একই কায়দায় আমার স্বামীর মাথার বাম পাশে আঘাত করে।পরে বাড়ির ভিতরে ঢুকে আলমারিতে থাকা নগদ অর্থ ও স্বর্ণালংকার নিয়ে যায় বলে জানান মামলার বাদী মরিয়ম আক্তার নেভী।
অপরদিকে আঘাত প্রাপ্ত গাফ্ফার জানান, কলাগাছ কে বা কারা উঠিয়েছেন তা জানি না তবে আমার চাচা টুকুর লাল রঙের একটি গরু মরিয়ম ও তার স্বামী তাদের বাড়িতে নিয়ে গেলে তা আনতে আমরা সেই বাড়িতে যাই।ছুরি চাপাতির কোপের কথা অস্বীকার করে উল্টো মরিয়ম ও তার স্বামী এ কাজ করেছেন বলে জানান।এবিষয়ে গাফ্ফার ও মনিরের চাচা আলী আকবর টুকু পূবাইল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
পূবাইল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মো. শাখাওয়াত হোসেন জানান,অভিযোগ পেয়েছি থানায় মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। কার্যক্রম চলছে।