এবারের সাধারণ ক্ষামাতে কি কি থাকছে জেনে রাখুন।
আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে ৩১ অক্টোবর ২০২৪ পার্যন্ত দুই মাসের জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকার সাধা রণ ক্ষমা ঘোষণা করেছে ।
এতে করে দেশটিতে ভিসা ছাড়া অবৈধ বসবাস করী বৈধ হবার সুযোগ ও বিনা জরিমানা দেশ ত্যাগের সুবিধা রয়েছে।এই সব বিষয়ে আজ বুধবার বাংলাদেশ কন্স্যুলেট জেনারেল দুবাই ও উত্তর আমিরাতের উদ্যোগে সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের উত্তর দেন মান্যবার কনসাল জেনারেল বিএম জামাল হোসেন।এসময় কনস্যুলেটের অন্যান উর্ধতন কর্মকর্তা গন উপস্থিত ছিলেন।সাধারণ ক্ষমাকে ঘিরে যেসব প্রশ্ন গুলির উত্তর পাওয়া যায় সকলের জন্যে তার নিন্মে দেয়া হলো।যেমন ধরুন :
প্রশ্ন-১ সংযুক্ত আরব আমিরাতে সাধারণ ক্ষমা কখন শুরূ হবে এবং কতদিন চলমান থাকবে ?
উত্তর: ০১ সেম্টেম্বর ২০২৪ হতে ৩১ অক্টোবর ২০২৪ পর্যন্ত।
প্রশ্ন-২ কারা সাধারণ ক্ষমার আওতায় আসবেন?
উত্তর: অনিয়মিত/আনডকুমেন্টেড/অবৈধভাবে বসবাসকারী বাংলাদেশী যাদের ভিসার মেয়াদ ইতোমধ্য শেষ হয়েছে তারা সাধারণ ক্ষমার সুযোগ পাবেন।
প্রশ্ন-৩ সাধারণ ক্ষমা ২০২৪ এর সেবা পেতে কোথায় যেতে হবে?
উত্তর: দুবাই ভিসাধারীগণ আল-আভীর ইমিগ্রেশন এবং অন্যান্য আমিরাতের ভিসাধারীগণ সংশ্লিষ্ট ইমিগ্রেশনে যেতে হবে। সংশ্লিষ্ট ইমিগ্রেশনের নির্দেশনা অনুযায়ী ইউএই সরকার অনুমোদিত টাইপিং তাসহিল/আমের সেন্টারে যেতে হবে।
প্রশ্ন-৪ ইমিগ্রেশন হতে এক্সিট পারমিট নেওয়ার জন্য কী কী ডকুমেন্ট লাগবে?
উত্তর: দেশে যাওয়ার জন্য এক্সিট পারমিট পাওয়ার জন্য মূল পাসপোর্ট বা কনস্যুলেট হতে ট্রাভেল পারমিট লাগবে।
প্রশ্ন-৫ জরিমানা কি সম্পূর্ণ মওকুফ করা হবে?
উত্তর: ভিসাবিহীন থাকার জন্য কোন জরিমানা দিতে হবে না, তবে ডকুমেন্ট প্রসেসিং এর জন্য নির্ধারিত ফি প্রদান করতে হবে।
প্রশ্ন-৬ যদি কোনো ব্যক্তি অবৈধভাবে সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রবেশ করে থাকে এবং যথাযথ ডকুমেন্ট না থাকে, তারা কি সাধারণ ক্ষমার আওতায় আসবে?
উত্তর: যারা সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করেছেন, তারা পাসপোর্ট/বাংলাদেশী হিসেবে কোন প্রমাণক/সংশ্লিষ্ট দেশের ভিসার প্রমাণক ও পূর্ববর্তী ভিসার তথ্য প্রদানপূর্বক কনস্যুলেট হতে ট্রাভেল পারমিট সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট ইমিগ্রেশনে হতে এক্সিট পারমিট নিতে পারবেন।
প্রশ্ন-৭ ইমিগ্রেশন হতে এক্সিট পারমিট ইস্যু করার জন্য কত চার্জ দিতে হবে?
উত্তর: : ভিসা নিয়মিত করা ও দেশে যাওয়ার প্রেক্ষিতে এক্সিট পারমিট এর জন্য নির্ধারিত ফি প্রদান করতে হবে।
প্রশ্ন:-৮ ইমিগ্রেশন হতে ইস্যুকৃত এক্সিট পারমিট এর মেয়াদ কতদিন থাকবে?
উত্তর: এক্সিট পারমিট প্রাপ্তির পর ১৪ দিন মেয়াদ থাকবে।
প্রশ্ন-৯ ইমিগ্রেশন হতে এক্সিট পারমিট পেতে কত সময় লাগবে?
উত্তর: সংশ্লিষ্ট ইমিগ্রেশনে বায়োমেট্রিক্স স্ক্যান করার পর এক্সিট পারমিট ইস্যু করা হবে।
প্রশ্ন-১০ হারানো পাসপোর্টের ক্ষেত্রে কি অনলাইন আবেদনের মাধ্যমে পুলিশ রিপোর্টের প্রয়োজন হবে?
উত্তর: সংশ্লিষ্ট ইমিগ্রেশনে ভিসা রেকর্ড চেক করার পর যদি Absconding/তা’মিম (নিয়োগকর্তা হতে পলায়ন) থাকে, তাহলে দেশে যাওযার জন্য এক্সিট পারমিট অথবা ভিসা নিয়মিত করার জন্য পুলিশ রিপোর্ট লাগবে।
প্রশ্ন-১১ সাধারণ ক্ষমা চলাকালীন এক্সিট পারমিট নিয়ে দেশে গেলে পরবর্তীতে ইউএই প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে কি?
উত্তর: সাধারণ ক্ষমা চলাকালীন এক্সিট পারমিট নিয়ে দেশে গেলে কোনো প্রকার Ban/নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবেনা।
প্রশ্ন-১২ আদালতে মামলা চলাকালীন কি সাধারণ ক্ষমার সুযোগ পাবেন?
উত্তর: সাধারণ ক্ষমার সুবিধা প্রাপ্তির জন্য আদালত থেকে ক্লিয়ারেন্স নিতে হবে।
প্রশ্ন-১৩ যাদের বিরুদ্ধে Absconding /তা’মিম (নিয়োগকর্তা হতে পলায়ন) রিপোর্ট আছে তারা কি সাধারণ ক্ষমার জন্য আবেদন করতে পারবেন?
উত্তর: মামলার ধরনের উপর তা নির্ভর করবে, Absconding/তা’মিম রিপোর্ট আপডেট করে সংশ্লিষ্ট ইমিগ্রেশণ কর্তৃপক্ষ দেশে যাওয়ার জন্য এক্সিট পারমিট ইস্যু করবেন।
প্রশ্ন-১৪ Absconding /তা’মিম (নিয়োগকর্তা হতে পলায়ন) রিপোর্ট বিলুপ্ত করার জন্য আবেদনকারীকে কোথায় যেতে হবে?
উত্তর: আবেদনকারীকে Absconding/তা’মিম রিপোর্ট তোলার জন্য সংশ্লিষ্ট ইমিগ্রেশনে নিজে যেতে হবে।
প্রশ্ন-১৫ আবেদনকারী কীভাবে তার পাসপোর্ট পুনরুদ্ধার করতে পারবেন, যা স্পন্সর কর্তৃক ইমিগ্রেশনে জমা দেওয়া হয়েছে?
উত্তর: সংশ্লিষ্ট ইমিগ্রেশনে যোগাযোগ করা হলে যথাযত প্রক্রিয়ায় আবেদনকারীকে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ পাসপোর্ট হস্তান্তর করবে। ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের কাছে জমা থাকা কিছু সংখ্যক পাসপোর্ট কনস্যুলেটে হস্তান্তর করা হয়েছে। কনস্যুলেটে যোগাযোগ করে উক্ত পাসপোর্ট সংগ্রহ করা যাবে।
প্রশ্ন-১৬ জরিমানা মওকুফ ও ভিসা নিয়মিতকরণ কার্যক্রম শেষ করে কি সরাসরি কর্মসংস্হান ভিসা ইস্যু করা হবে?
উত্তর: সরাসরি সংশ্লিষ্ট ইমিগ্রেশনে গিয়ে পাসপোর্ট ও ভিসা/আইডি কপি দাখিল করে প্রসেসিং ফি প্রদানের মাধ্যমে জরিমানা মওকুফ করা হবে এবং ছয় মাস মেয়াদী Job seekers visa ইস্যু করা হবে।
(২য় প্রশ্ন উত্তর)
প্রশ্ন-১ আমিরাতে বাংলাদেশিদের সাধারণ ভিসা হচ্ছে না। এক্ষেত্রে সাধারণ ক্ষমার সুযোগ প্রত্যাশীদের জন্য কি করণীয়?
উত্তর: সাধারণ ক্ষমা চলাকালীন সাময়িকভাবে নতুন ভিসা প্রদান বন্ধ থাকবে। অনিয়মিত/আনডকুমেন্টেড/অবৈধভাবে বসবাসকারী বাংলাদেশী যাদের ভিসার মেয়াদ ইতোমধ্য শেষ হয়েছে তারা সাধারণ ক্ষমার সুযোগ পাবেন।
প্রশ্ন-২ যারা ভিজিট এসে ভিসা লাগায় নাই তাদের ক্ষেত্রে করণীয় কি?
উত্তর: সাধারণ ক্ষমা চলাকালীন তারা বৈধ হওয়ার সুযোগ পাবেন।
প্রশ্ন-৩ অবৈধপথে আমিরাতে যারা প্রবেশ করেছে তাদের কি করণীয়?
উত্তর: যারা সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করেছেন, তারা পাসপোর্ট/বাংলাদেশী হিসেবে কোন প্রমাণক/সংশ্লিষ্ট দেশের ভিসার প্রমাণক ও পূর্ববর্তী ভিসার তথ্য প্রদানপূর্বক কনস্যুলেট হতে ট্রাভেল পারমিট সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট ইমিগ্রেশনে হতে এক্সিট পারমিট নিতে পারবেন।
প্রশ্ন-৪ কোনো প্রবাসীর পাসপোর্ট তামিম থাকলে তার বেলায় করনীয় কি?
উত্তর: মামলার ধরনের উপর তা নির্ভর করবে, Absconding/তা’মিম (নিয়োগকর্তা হতে পলায়ন) রিপোর্ট আপডেট করে সংশ্লিষ্ট ইমিগ্রেশনে কর্তৃপক্ষ দেশে যাওয়ার জন্য এক্সিট পারমিট ইস্যু করবেন। সংশ্লিষ্ট ইমিগ্রেশনে গিয়ে Absconding /তা’মিম (নিয়োগকর্তা হতে পলায়ন) রিপোর্ট বিলুপ্ত করে নিয়মিত হওয়ার সুযোগ পাবেন।
প্রশ্ন-৫ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো কন্ডিশন কি? অর্থাৎ অবৈধভাবে বসবাসরত প্রবাসীরা কিভাবে বৈধ হবে?
উত্তর: সংশ্লিষ্ট ইমিগ্রেশনে গিয়ে যথাযথ প্রক্রিয়ায় আবেদন করে দেশে যাওয়া/বৈধ হওয়ার সুযোগ পাবেন।
প্রশ্ন-৬ তাদেরকে কি নতুন স্পনসর থেকে প্রথমে অফার লেটার নিয়ে আসতে হবে? নাকি সরাসরি ফাইন মৌকুফ করা হবে?
উত্তর: সরাসরি সংশ্লিষ্ট ইমিগ্রেশনে গিয়ে পাসপোর্ট ও ভিসা/আইডি কপি দাখিল করে প্রসেসিং ফি প্রদানের মাধ্যমে জরিমানা মওকুফ করা হবে এবং ছয় মাসের জন্য Job seekers visa ইস্যু করা হবে।