জামালপুরের বকশীগঞ্জে অধ্যক্ষের অপসারণ দাবি করা শিক্ষক-কর্মচারীদের ওপর বহিরাগতদের হামলার অভিযোগ উঠেছে।
হামলায় পাঁচ শিক্ষক-কর্মচারী ও এক জন প্রতিষ্ঠাতা পরিবারের সদস্য আহত হয়েছেন।
রোববার (২৫ আগস্ট) দুপুর ১২ টার দিকে বকশীগঞ্জ খাতেমুন মঈন মহিলা ডিগ্রি কলেজে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও হামলা স্বীকার শিক্ষকরা জানান, কলেজের অধ্যক্ষ বজলুল করিম তালুকদারের অপসারণের দাবিতে সকাল ১০ টা থকে ১১ টা পর্যন্ত কর্মবিরতি পালন করেন কলেজের সিংহভাগ কলেজ শিক্ষক ও কর্মচারীরা।
কর্মবিরতি পালন শেষ হলে স্থানীয় ৩০ থেকে ৪০ জন বহিরাগত কলেজ ক্যাম্পাসে ঢুকে কর্মবিরতি পালন করা শিক্ষক-কর্মচারীদের ওপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় বহিরাগতরা কর্মবিরতির ব্যানার ছিঁড়ে ফেলেন।
ওই হামলায় সহকারী অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মোকাদ্দেস রিপন, সহকারী অধ্যাপক বজলুর রশিদ, সহকারী অধ্যাপক আনিছুজ্জামান , প্রভাষক রুস্তম আলী, উচ্চমান সহকারী ইলিয়াছ উদ্দিন আহত হয়। এসময় কলেজ প্রতিষ্ঠাতা পরিবারের সদস্য ও পৌর বিএনপির যুগ্ন আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল সাফি লিপন হামলাকারীদের বাঁধা দিতে গেলে তাকেও মারধর আহত হয়। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এব্যাপারে হামলা শিকার হওয়া সহকারী অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মোকাদ্দেস রিপন জানান, আমাদের ওপর ন্যক্কারজনকভাবে হামলা করা হয়েছে। আমাদের নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনে অধ্যক্ষের ক্যাডার বাহিনী হামলা চালিয়েছে।
আমরা এই অধ্যক্ষের অপসারণ চাই এবং হামলাকারী উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি সরকার রাসেলকে গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছিুক এক প্রভাষক জানান, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি সরকার রাসেল বিএনপির নাম ভাঙিয়ে বেপরোয়া আচরণ করছেন। তার কর্মকান্ডে আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছি।
এঘটনায় অত্র কলেজের অধ্যক্ষ বজলুল করিম তালুকদার জানান, হামলার বিষয়ে আমি কিছু জানি না।
অভিযুক্ত বকশীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি সরকার রাসেল জানান, গ্রামবাসীদের সঙ্গে শিক্ষকদের ঝামেলা হয়েছে। হামলায় আমি জড়িত নই।
বকশীগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ আবদুল আহাদ খান জানান, এবিষয়ে অভিযোগ প্রাপ্তী সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।