মারাত্মক বন্যা পরিস্থিতিতে এই ১২ জেলায় ১৪ শতাংশ মোবাইল টাওয়ার অচল হয়ে পড়েছে। এসব জেলায় কয়েক লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এতে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন বেশিরভাগ মানুষ।
আজ শুক্রবার সকালে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি) এ তথ্য জানিয়েছে।
টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের তথ্য বলছে, বৃহস্পতিবার রাত ৮টা পর্যন্ত বন্যা আক্রান্ত ১২টি জেলার ১২ হাজার ২৫০টি সাইট বা টাওয়ারের মধ্যে ১০ হাজার ৪৭১টি সাইট সচল আছে। আর অচল হয়ে পড়েছে ১ হাজার ৮০৭টি।
জানা গেছে, মোবাইল টাওয়ার সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ফেনীতে। মারাত্মক বন্যা পরিস্থিতিতে ফেনীর ৭৫ শতাংশ মোবাইল টাওয়ার অচল হয়ে পড়েছে। আর নোয়াখালীতে এ হার ৩৩ শতাংশ।
মোবাইল অপারেটররা জানায়, বন্যাকবলিত অঞ্চলে অপারেটরদের টাওয়ার এলাকা ডুবে গেছে। এসব টাওয়ারে একদিকে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই, অন্যদিকে তুমুল স্রোতে অন্যান্য প্রয়োজনীয় যান্ত্রিক সহযোগিতা পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না।
টাওয়ার সচল রাখতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ প্রয়োজন। কিন্তু বন্যায় বেশিরভাগ জায়গা প্লাবিত। এ কারণে নেটওয়ার্ক পুনরায় চালু করা যাচ্ছে না। স্রোত না কমা পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় নেটওয়ার্ক পুনঃসংযোগ করা সম্ভব নয়।