ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারী বৃষ্টিতে মিরসরাইয়ে বন্যা সৃষ্টি হয়েছে। এরমধ্যে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে মিরসরাই বাসী। ফেনীর রামগর পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ২১৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।মিরসরাইয়ের অধিকাংশ বাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে। এরমধ্যে ধুমের গোলকেরহাট ও করেরহাট বন্যা পরিস্থিতি সবচেয়ে বেশি খারাপ। এতে বিপাকে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সড়কগুলো পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় দ্রুত স্পিডবোট ও হেলিকপ্টারের মাধ্যমে বন্যা দুর্গতদের উদ্ধারের আবেদন জানিয়েছেন বাসিন্দারা। ইতিমধ্যে সহযোগিতার জন্য সেখানে সেনাবাহিনী ও কোস্টগার্ড পৌঁছেছে। বন্যা পরিস্থিতির অবনতির কারণে বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। ফলে অনেকের মোবাইল ফোনের চার্জ শেষ হয়ে যাওয়ার পর আর যোগাযোগ করতে পারছেন না। এজন্য জেলার বাইরে থাকা বিভিন্ন মানুষ তাদের পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না। এদিকে কিছু মোবাইল টাওয়ার বিকল্প উপায়ে চালানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।কিন্তু নেটওয়ার্কে সমস্যা দেখা দিচ্ছে।উপজেলার ১২নং খৈয়াছড়া ও ১৩নং মায়ানীর ১নং ওয়ার্ডের ছাত্রসমাজের উদ্যোগে খৈয়াছড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে আশ্রয়কেন্দ্রের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য গ্রামে গ্রামে ছাত্রসমাজের ছাত্ররা মাইকিং করতেছে এবং যারা আশ্রয়কেন্দ্রে আসতেছে তাদেরকে আসার জন্য সহযোগিতা করতেছে।