খুলনার দাকোপ উপজেলায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ দাকোপ উপজেলা শাখায় উদ্যোগে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শহীদ মুগ্ধ ও আবু সাঈদ সহ সকল শহীদের স্মরণে উপজেলার ডাকবাংলা চত্বরে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২০ আগষ্ট মঙ্গলবার বিকালে উপজেলা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আহবায়ক মাওলান ইলিয়াস হোসাইনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মোহাম্মদ শফিকুল ইসলামের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল্লাহ ইমরান হুসাইন।প্রধান অতিথি বলেন ছাত্র-জনতা জীবন ও রক্ত দিয়ে দ্বিতীয়বার স্বাধীন করেছে দেশ। মানুষ সুখে-শান্তিতে ও নিরাপদের সাথে বসবাস করবে। তিনি বলন, সকল ধর্মের সংখ্যানুপাতিকহারে চাকুরী নিশ্চিতের দাবি জানান। সকলক্ষেত্রে বৈষম্য রুখে দিতে হবে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ একটি নির্লজ্জ দল। শেখ হাসিনা পুরো পরিবার দেশ থেকে পালিয়ে গেছে নেতাকর্মীদের ফেলে। এখন আপনারা কোন মুখে শেখ হাসিনার উস্কানীতে পা দিয়ে দেশে নতুন করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছেন? লজ্জা থাকলে কেউ কোন দিন আওয়ামী লীগ করতে পারে না। ফেরাউন হাসিনা নিজেদের প্রয়োজনে বার বার সংবিধানকে পরিবর্তন করে সাংবিধানিক সঙ্কট সৃষ্টি করেছে। এখন উপদেষ্টাদেরকে শেখ হাসিনার দেশবিরোধী সংবিধানকে বাতিল করতে হবে।
বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা সহ সভাপতি মাওলানা শায়খুল ইসলাম বিন হাসান,দলীয় সম্ভব্য সাংসদ প্রার্থী মাওলানা আবু সাইদ, জেলা সেক্রেটারি হাফেজ আসাদুল্লাহ গালিব,দ্বীন কায়েম সংগঠন জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান,ছাত্র আন্দোলন জেলা সভাপতি মুহাম্মদ ফরহাদ মোল্লা,সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, শ্রমিক আন্দোলন জেলা সেক্রেটারি মুহাম্মদ রেজাউল করিম, দ্বীন কায়েম সংগঠন দাকোপ উপজেলা সদর মাওলান আব্দুর রাজ্জাক, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম।
সাংসদ প্রার্থী মাওলানা আবু সাইদ বলেন, শহীদের রক্তের দাগ এখনো শুকায়নি। আওয়ামী লীগ দেশ নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র করছে। প্রতিবিপ্লবের চক্রান্ত করে দেশকে সঙ্কটে নিপতিত করতে চাচ্ছে। শেখ হাসিনা ১৪ গোষ্ঠীসহ দেশত্যাগ করেছে। এখন লজ্জা থাকলে তাদের পক্ষ নেয়া থেকে বিরত থাকা উচিত। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের প্রতিবিপ্লবীদের চক্রান্ত জনগণ রুখে দিবে।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা তাবারক হুসাইন, জাহিদুল ইসলাম, হাফেজ আব্দুল কাদের, আবু দাউদ, হাফেজ উসমান কারিম, মুফতি ফেরদাউস গাজী, মাওলান আল মামুন, মুফতি মুস্তাফিজুর রহমান, মাওলানা বিল্লাহ, আলহাজ্ব মামুন, মাওলানা খালিদ, মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস, মাওলানা আব্দুর সবুর, মাওলান জিয়াউল হক, মাওলান আমিনুল ইসলাম, মাওলা রেজাউল করিম,মামুন আর রশিদ, আবু ইউসুফ গাজী, মুফতি মানসুরুল হক, শ্রমিকনেতা মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুন,ছাত্র নেতা মুহাম্মদ তরিকুল ইসলাম, মুহাম্মাদ ফজলুল করিম, আরাফাত জামিল,মুরসালিন, ইবরাহিম খলিল প্রমুখ।