আওয়ামী লীগের ক্ষমতাধর মন্ত্রীদের অন্যতম ডা. দীপু মনি এবং তার বড় ভাই ডাঃ জে আর ওয়াদুদ টিপুসহ ৩৮২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১২০০ জনকে দেখিয়ে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
১৪ আগস্ট বুধবার মামলাটি দায়ের করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ মুহসীন আলম। মামলাটির বাদী হচ্ছেন শহরের মেথা রোডস্থ মুনিরা ভবনের দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যানেজার পৌর ৮নং ওয়ার্ডের কোড়ালিয়ার সামসুল হক হাওলাদের ছেলে মোঃ সেলিম মিয়া (৪৫)।
মামলার এজাহারে বলা হয়, দীপু মনি, তার ভাই জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি টিপু, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটোয়ারী দুলাল, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মোঃ জিল্লুর রহমান এবং চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ন কবীর সুমনের হুমুকের মদদে গেলো ১৮ জুলাই বৃহস্পতিবার আনুমানিক সন্ধ্যা ৭টায় তাদের শত শত নেতা-কর্মী দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রসহ শহরের মুনিরা ভবনে হামলা, মালামাল লুটপাট, ভাঙ্গচুর ও ভবনে অগ্নিসংযোগ করে। ওই মুনিরা ভবনের মালিক জেলা বিএনপি’র সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক তখন চিকিৎসার জন্য বাহিরে ছিলেন। এখন সব মিলিয়ে ওই ঘটনায় প্রায় আড়াই কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি করা হয়েছে। তাই ন্যায় বিচার পেতেই থানায় মামলাটি করা হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে দেখা যায়, যাদের নাম মামলার তালিকায় উঠেছে এরা সবাই আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগের বর্তমান ও সাবেক নেতা। এসব নামের অধিকাংশই চাঁদপুর পৌর ও সদর উপজেলার আওতাধীন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী।
এদিকে মামলা প্রসঙ্গে ভুক্তভোগী জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক বলেন, আমি কখনো কারো সাথে অমানবিক আচরণ করিনি। অতছ শুধুমাত্র রাজনীতির কারনে প্রতিহিংসা বশত আমার বাড়ীর ওপর এই অঘটনটি দেখতে হলো। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং ন্যায় ও সুষ্ঠু বিচার প্রত্যাশা করছি। এদিকে মামলার বিবাদীদের সবাই আত্মগোপনে থাকায় তাদের সাথে যোগাযোগ করে বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি শেখ মুহাম্মদ মুহসীন আলম বলেন, মামলাটিতে আইনী কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। একই সাথে নিরপরাধ কেউ যাতে হয়রানি না হয় সেদিকেও নজর রাখা হবে।