ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে মদ্যপান করে অপর বন্ধুকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে খুন করেছে।
রোববার রাত ৯টার দিকে নবীনগর পৌরসভার নারায়ণপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর সদস্যরা নিহতদের লাশ উদ্ধার ও ঘটনার সাথে জড়িত দু’জনকে আটক করে নবীনগর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
নিহত রাহিম (২২) নবীনগর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড নারায়ণপুর গ্রামের বাসিন্দা ইসমাইল মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় ওয়ার্কশপ মিস্ত্রি।
আটককৃতরা হলেন, একই মহল্লার বাসিন্দা জামাল পাশার দুই ছেলে সাকিল (২২) ও ফারুক (২০)। এরাও পেশায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি।
ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায় এরা তিনজনই ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলো ।
পার্টি দেয়ার কথা বলে এরা তিন বন্ধু গেল রোববার রাত সাড়ে ৮টায় নিউ টাউন নামে পরিচিত নারায়ণপুর পূর্বপাড়া জামাল পাশার বাগান বাড়িতে একটি দুচালা ঘরে একত্রিত হয়ে মদ্যপান করে। অতিরিক্ত মদ্যপান করে রাহিম মাতাল হয়ে যায়। এ সময় তাদের মাঝে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় সাকিল ও ফারুক তাদের ঘরে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে রাহিমের বুকে, পেটে ও মাথায় প্রায় ২০টি আঘাত করে খুন করে। রাহিমকে খুন করে সাকিল ও মারুফ দুই ভাই নেশাগ্রস্ত অবস্থায় লাশের পাশেই বসে ছিল। পরে আশপাশের লোকজন এসে নবীনগর ক্যাম্পে থাকা সেনাবাহিনীকে খবর দেয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে রাত ১২টায় নিহতের লাশসহ সাকিল ও মারুফকে আটক করে নবীনগর থানা পুলিশের কাছে হাস্তান্তর করে।
সাকিল ও মারুফের মা জায়েদা বেগম জানান, ‘রাহিম আমার ছেলেদের বন্ধু ছিল, রাত ৮টার দিকে আমার দুই ছেলে ঘর থেকে বের হয়ে যায়। পরে রাহিমের মায়ের চিৎকার শুনে আমি ঘর থেকে বের হয়ে খুনের কথা জানতে পারি।’
এ দিকে, রাহিমের মা রত্না বেগম জানান, ‘আমার ছেলে দুপুরেও ভাত খায়নি, মাগরিবের পর খাবার খেয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে গেছে। আর ফিরে আসে নাই। পরে রাত ৯টা বেজে গেল, বাড়িতে না আসায় তার মোবাইলে কল দিলাম, মোবাইল ফোন বন্ধ বলে। এর কিছুক্ষণ পর জানতে পারি আমার ছেলেরে মেরে ফেলছে জামালের দুই ছেলে পরে দৌড়ে গিয়া দেখি মাটিতে আমার কলিজার ধন ঘুমিয়ে আছে।
এ বিষয় এ
নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহবুব আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘খুনের সাথে জড়িত দু’জন আটক রয়েছে, লাশ ও রক্ত মাখা ছুরিসহ আরো কিছু আলামত উদ্ধার করা হয়েছে।