ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে ক্ষমতা ও দেশ দুটোই ছেড়েছেন শেখ হাসিনা।
তার ভাষ্য, ‘এত এত উন্নয়নের পরও মায়ের অপমান করা হয়েছে।’ হাসিনার রাজনীতিতে না ফেরার কথাও জানান জয়। এমনকি নিজে রাজনীতিতে সংশ্লিষ্ট না হওয়ার ঘোষণাও দেন।
তবে ধীরে ধীরে বক্তব্য পাল্টাতে শুরু করেছেন তিনি। জানান, রাজনীতি করতে নিজের প্রস্তুতির কথা।
ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়াতে দেয়া সাক্ষাৎকারে জয় জানান, তার দল ও কর্মীদের বাঁচাতে যা করা দরকার তিনি তাই করবেন। প্রয়োজনে দল ও কর্মীদের বাঁচাতে রাজনীতিতে যোগ দেবেন তিনি।
‘নির্বাচনের ঘোষণা এলে দেশে ফিরবেন শেখ হাসিনা’
জয় জানান, তার কখনো রাজনীতিতে জড়ানোর ইচ্ছা ছিল না, তবে গত কয়েক দিন দেশের পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে সেখানে নেতৃত্বের ঘাটতি আছে।
হাসিনাপুত্র জানান, আওয়ামী লীগের স্বার্থেই তাকে এখন সক্রিয় হতে হয়েছে। এমনকি তিনি এখন দলের সামনের সারিতে রয়েছেন বলেও দাবি করেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমানের দেশে ফেরার ঘোষণা দেয়ার পরই এমন মন্তব্য করেন জয়।
আগামী নির্বাচন নিয়ে জয় জানান, তিনি নিশ্চিত যে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে এবং বিজয় অর্জনও করতে পারে। বাংলাদেশে তাদের বড় সমর্থকগোষ্ঠী রয়েছে। এ সময় হাসিনার কোনো দেশে রাজনৈতিক আশ্রয় নেয়ার পরিকল্পনা নেই, বরং আগামী দিনগুলো তিনি ভারতেই থাকবেন বলে জানান জয়।
হাসিনাপুত্র আরও জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যখনই নির্বাচন দেয়ার ঘোষণা দেবে তখনই শেখ হাসিনা দেশে ফিরতে পারেন।
সুএ টাইমস অব ইন্ডিয়া