জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইসের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপি। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে শুক্রবার (৯ আগস্ট) সকালে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠক হয়।
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন আমীর খসরু মাহমুদ
বৈঠকে দেশের নবগঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, সার্বিক পরিস্থিতি, অর্থনৈতিক অবস্থা প্রভৃতি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
এ বৈঠকে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সাংগঠনিক শামা ওবায়েদ এবং ঢাকাস্থ জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষজ্ঞ হুমা খান উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকের পর আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমরা দ্বিতীয়বার স্বাধীনতা পেয়েছি। এর সঙ্গে বাংলাদেশের গণসমর্থন যেভাবে ছিল তেমনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়েরও ভালো সমর্থন ছিল।
বিশেষ করে বাংলাদেশের মানুষের মানবাধিকার ফিরিয়ে আনতে ইউনাইটেড নেশনসের একটা বড় ধরনের সমর্থন ছিল। বাংলাদেশের উন্নয়ন পার্টনার যারা আছে তারা বাংলাদেশের আগামী দিনের ভবিষ্যৎ কী হবে সেটা নিয়ে সবার মধ্যে একটা দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ছিল। আজকে সবার মধ্যে সে শঙ্কা কেটে গেছে।
তিনি আরও বলেন, আগামী দিনে আমরা কীভাবে বাংলাদেশ গড়বো… ইউএন ইজ এ মেজর পার্টনার এবং তাদের সমর্থন প্রয়োজন আছে; তারা সে সমর্থন দিতে রাজি আছে এবং সবাইকে নিয়ে কাজ করছে। সবাই মিলে একটা নতুন বাংলাদেশ গড়ব- এটাই এখানে আলোচনা হয়েছে।
গোয়েন লুইস বলেন, আমরা গত রাতে ড. ইউনূসের নেতৃত্বে যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন হয়েছে সে বিষয়ে আলোচনা করেছি। এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি ইউনাইটেড নেশন সমর্থন জানিয়েছে। এরই অংশ হিসেবে আমরা সব স্টেকহোল্ডারস রাজনৈতিক দল, সিভিল সোসাইটির প্রতিনিধি, সংগঠনের সঙ্গে আলাপ করছি। আজকে আমরা বিএনপির সঙ্গে আলোচনা করেছি।
আগামী বাংলাদেশ গড়ার জন্য কীভাবে জাতিসংঘ সহযোগিতা করতে পারে, আন্দোলনকে ঘিরে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার ইনভেস্টিগেশনে জাতিসংঘ কীভাবে সহযোগিতা করতে পারে এবং উন্নয়ন অগ্রাধিকারে সহযোগিতা করা যায়- সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এই নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আগামী নির্বাচনের আগ পর্যন্ত বাংলাদেশের উন্নয়নে জাতিসংঘ সহযোগিতা দিয়ে যাবে। এসব বিষয়ে আমরা এই আলোচনা করেছি।
তিনি আরও বলেন, রাস্তায় সহিংসতা বন্ধ এবং সবর্ত্র শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরে আসুক। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এগিয়ে যাক-এ প্রত্যাশা আমরা করছি