ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার নবীনগর উপজেলার সাতমোড়া ইউনিয়ন এর সাতমোড়া গ্রামে ইন্ডিয়ান হাই কমিশনারের বাড়ি থেকে ফ্রিজে রাখা কোরবানির মাংস চুরি হয়, এ ঘটনায় রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে নবীনগর থানায় অজ্ঞাত চুরদের আসামি করে একটি অভিযোগ করেন, সেই অভিযোগের ভিত্তিতে নবীনগর থানার এস আই নাসির উদ্দিন, সজীব ওরফে কালু মিয়া পিতা ইয়ার হোসেন নামের আসামি কে আটক করে তাকে কোটে প্রেরন করেন,
এ বিষয় এ এস আই নাসির উদ্দিন জানান আমি ৩১/০৭/২৪ ইংরেজি তারিখ রাতে সজীব ওরফে কালু মিয়া কে সাতমোড়া থেকে গ্রেফতার করি এবং তাকে সাথে নিয়ে তার বাড়ির রান্না ঘর থেকে গ্রিল কাটার যন্ত্র উদ্ধার করি এবং সে চুরি তে জড়িত আছে বলে আমাদের জানান পর দিন সকালে তাকে কোটে চালান করা হয় সেখানে মহামান্য আদালতের কাছে সে তার দুষ শিকার করে, আসামি কে ভয়বিতি দেখানোর বিষয় টি সত্য নই।
তবে এ বিষয় টি মানতে নারাজ সজীব ওরফে কালু মিয়ার পরিবার,তার স্ত্রী জানান ভয়বিতি দেখিয়ে চুরির কথা শিকার করানো হয়েছে, ৩/০৮/২৪ ইংরেজি তারিখে সরেজমিনে সাতমোড়া ইউনিয়ন এর সাতমোড়া গ্রামে সজীব ওরফে কালুর স্ত্রীর সাথে কথা বলে জানা যায় জমিজমা নিয়ে একটি মহল তাদের উপর ক্ষিপ্ত আছে ঐ প্রভাবশালি মহল টি তাদের শেষ ভিটা বাড়ীটা নিয়ে যেতে চাই তাদের কাছে বাড়ি টি বিক্রি করছেন না বিদায় সাতমোড়া গ্রামে যত ঝামেলা হয় তাদের উপরে চলে আসে,,এ সময় কালুর স্ত্রী খাদিজা জানান এ গ্রামে কোন কিছু হলেই
আমার স্বামীর উপরে দুষ চাপিয়ে দেয় আমরা গরীব এটাই কি আমাদের অপরাধ, ২৯ জুলাই আমার স্বামী কাজ থেকে ফেরার পথে পুলিশ চেচরা থেকে আমার নন্দের সামনে থেকে দুপুরে আমার স্বামী কে আটক করে এ সময় মুখলেস নামের এক পুলিশ আমাকে ফোন দিয়ে জানান আমার স্বামী কে হাই কমিশনারের বাড়ির মাংস চুরির অপরাধে আটকে করেছেন যদি আমি টাকা নিয়ে বটতলী তে যায় আমার স্বামী কে ছেড়ে দিবে, তখন আমি পুলিশ কে বলি আমরা গরীব মানুষ টাকা এই মুহূর্তে জোগাড় করে দেওয়া আমাদের পক্ষে অসম্ভব, খাদিজা আরো জানান আমি বিভিন্ন জায়গায় টাকার খোঁজে বের হয়, কিন্তু টাকা জোগাড় করতে পারি নি, পরে থানায় গেলে আমার স্বামীর সাথে দেখা করতে দেয় নি নবীনগর থানার পুলিশ , পরদিন ৩০ শে জুলাই আবারও সকালে থানায় গিয়ে অনেক আকুতি মিনতি করে আমার স্বামী কে খাবার ও কাপড় দিয়ে আসি এ সময় আমার স্বামী কে দেখি তিনি উঠে দাড়াতে পারছেন না তাকে বেদম মারধর করা হয়েছে থানা হাজতে, এর পর ৩১ তারিখ রাতের আঁধারে আমার স্বামী কে পুলিশ আমাদের বাড়িতে নিয়ে আসেন এবং আমার সামনে তাকে মারধর করেন চুরির কথা শিকার করতে,তখন আমার স্বামী বলেন আমি চুরি করি নি ঐ দিন আমি আমার শশুর বাড়ি তে ছিলাম আমার শাশুড়ীর চল্লিশা ছিলো আপনারা নীলনগরে গিয়ে খোঁজ নিলে সত্য টা পাবেন, এ কথা বলার পর আমার স্বামী কে পুলিশ নাছির উদ্দীন পা দিয়ে লাথি মেরে ফেলে দেন, এ সময় চিৎকার চেঁচামিচি তে আমার সন্তান ও আমার বয়স্ক শশুর ঘুম থেকে উঠে গেলে আমার শশুর কে পুলিশ গালাগাল করেন এবং আমার বাচ্চাদের মাথা পিস্তল ঠেকিয়ে বলেন আমার স্বামী কে চুরি করার কথা শিকার করতে এবং কোটে গিয়ে ও যেন চুরির কথা শিকার করেন নইলে তোদের জানে মেরে ফেলবো বলে হুমকি দেন, পরে আমার স্বামী ভয়ে ও আমাদের বাঁচাতে মিথ্যে চুরির অপবাদ নিজের গাড়ে তোলে নেন,
এ সময় পুলিশ আমার রান্না ঘর থেকে একটি পলিথিন মোড়ানো কি যেন নিয়ে এসে বলেন এটা রান্না ঘর থেকে খোঁজে পেয়েছি অতছো যদি এই যন্ত্র টা আমাদের হইতো তা কি ছোট একটি রান্না ঘরে রাখতাম, পরে আমার স্বামীর কথা মোবাইল রেকর্ড করে আমার স্বামী কে নিয়ে চলে যায়।
এ বিষয় এ সজীবের বাবা ইয়ার হোসেন জানান আমার ছেলে নির্দোষ এরা আমার ভালো ছেলে কে চুরি বানিয়ে ফেললো আমি আল্লাহর কাছে বিচার দিলাম আমরা গরীব মানুষ আমাদের পাশে কেই নাই,,
এ বিষয় এ এলাকার লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায় সজীব ওরফে কালু মিয়া দিনমজুরের কাজ করে কখনো কৃষি কাজ কখনো সেচপাম চালায়, নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেক ই বলেন সজীব ওরফে কালু চুরি করবে তা তাদের বিশ্বাস হয় না হইতো তাদের কে চাপে ও হয়রানি করতে একটি প্রভাবশালী মহল চেষ্টা করছেন আমরা যে বলছি যদি জানতে পারে আমাদের কে ও হয়রানি করবে, এরা অনেক কষ্ট করে ভিটা মাটি টা করেছে তার মা বয়স্ক মহিলা প্রবাসে এখন ও অনেক কষ্টের কাজ করছেন, সে চুর না ভালো ছেলে তাকে ফাঁসানো হয়েছে, তাকে নিয়ে কখনো কোন শালিসি বৈঠক বসতে ও আমরা শুনি নি।
এ বিষয় এ মামলার বাদী রফিকুল ইসলাম জানান সজীব ওরফে কালু মিয়া নামে কাউকে আমি চিনা না আমি অজ্ঞাত নামে মামলা করেছি হাই কমিশনার বাড়ি থেকে মাংস ও পাশের বাড়ির শিহাব উদ্দিনের বাড়ি থেকে গ্যাস সিলিন্ডার ও কাপড়চোপড় চুরি হয়েছে আমরা মনে করছি একই চুরের দল চুরি করতে পারেন, তবে সজীব ওরফে কালু মিয়া চুরি করেছে তা আমি দেখি নি বলতে ও পারবো না এ বিষয় টা পুলিশ জানেন কেন তাকে গ্রেফতার করেছেন,