অসহযোগ আন্দোলনে সহিংসতায় এপর্যন্ত ঢাকাসহ ১৮ জেলায় সাংবাদিক-পুলিশসহ ৭৫ জন নিহত হয়েছে।
এর মধ্যে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানায় হামলার ঘটনায় ১৩ পুলিশ এবং রায়গঞ্জে সাংবাদিক, ৩ আওয়ামী লীগ নেতাসহ ৭ জন নিহত হয়েছেন।
নরসিংদীতে ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৬, লক্ষ্মীপুরে ৮, ফেনীতে ৫, কিশোরগঞ্জে ৪, বগুড়ায় ৪, মাগুরায় ৪, রংপুরে ৪ জন, শেরপুরে ৩ এবং মুন্সিগঞ্জ, কুমিল্লা, পাবনা, সিলেটে ২ জন করে নিহত হয়েছে। এছাড়া রাজধানীসহ আরো পাঁচ জেলায় ৮ জন নিহত হয়েছেন।
দেশজুড়ে ১৪ পুলিশ নিহত, আহত ৩ শতাধিক
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অসহযোগ আন্দোলন কর্মসূচির মধ্যে দেশের বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়েছে। এসব হামলায় এখন পর্যন্ত ১৪ পুলিশ সদস্য নিহতের তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে শুধু সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানাতেই নিহত হয়েছেন ১৩ পুলিশ সদস্য।
পুলিশ সদরদপ্তরের এক বার্তায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। এছাড়াও কুমিল্লার ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে থানার এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন বলে জানানো হয় বার্তায়।
পুলিশ সদরদপ্তর জানায়, সন্ত্রাসীরা ডিএমপির যাত্রাবাড়ী ও খিলগাঁও থানা, টাঙ্গাইলের গোড়াই হাইওয়ে থানা, বগুড়ার সদর, দুপচাঁচিয়া ও শেরপুর থানা এবং নারুলী পুলিশ ফাঁড়ি, জয়পুরহাট সদর থানা, কুমিল্লার ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে থানা, রংপুরের গঙ্গাচড়া, মিঠাপুকুর, পীরগাছা, পীরগঞ্জ, বদরগঞ্জ ও গংগাচড়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ও আশুগঞ্জ থানা, সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর, উল্লাপাড়া ও শাহজাদপুর থানা, হবিগঞ্জের মাধবপুর ফাঁড়ি, ময়মনসিংহ রেঞ্জ অফিস, নারায়ণগঞ্জ, বগুড়া, পাবনা ও সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপারের কার্যালয়, দিনাজপুর সদর থানা আক্রমণ করেছে। আহত পুলিশ সদস্য প্রায় তিন শতাধিক।
সন্ত্রাসী হামলায় সিরাজগঞ্জে ১৩ পুলিশ নিহত
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অসহযোগ আন্দোলন কর্মসূচির মধ্যে সন্ত্রাসী হামলায় সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার ১৩ পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। পুলিশ সদর দপ্তরের এক বার্তায় এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। এছাড়াও কুমিল্লার ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে থানার এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন বলে জানানো হয় বার্তা।
রোববার সারাদেশে এখন পর্যন্ত ১৪ জন পুলিশ সদস্য নিহতের খবর পাওয়া গেছে।
রোববার সারাদেশে এখন পর্যন্ত ১৪ জন পুলিশ সদস্য নিহতের খবর পাওয়া গেছে। ছবি: ইনডিপেনডেন্ট
দেশজুড়ে সহিংসতায় নিহত বেড়ে ৭০
অসহযোগ আন্দোলনে সহিংসতায় এপর্যন্ত ঢাকাসহ ১৭ জেলায় সাংবাদিক-পুলিশসহ ৭০ জন নিহত হয়েছে। এরমধ্যে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানায় হামলা চালিয়ে ১১ পুলিশকে এবং রায়পুরে সাংবাদিক, ৩ আওয়ামী লীগ নেতাসহ ৭ জন নিহত হয়েছেন।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মার্চ টু ঢাকার তারিখ একদিন এগিয়ে আনা হয়েছে। রোববার আন্দোলনের সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
এতে বলা হয়েছে, পরিস্থিতি পর্যালোচনায় এক জরুরি সিদ্ধান্তে মার্চ টু ঢাকা কর্মসূচি ৬ আগষ্ট থেকে পরিবর্তন করে ৫ আগষ্ট করা হয়েছে। অর্থাৎ আগামীকালই সারাদেশের ছাত্র–জনতাকে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করার আহ্বান জানাচ্ছি।
রোববার সকাল থেকে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা হয়ে ওঠে রণক্ষেত্র।
রোববার সকাল থেকে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা হয়ে ওঠে রণক্ষেত্র। ছবি: ইনডিপেনডেন্ট
ত্রিমুখী সংঘর্ষে ১৬ জেলায় পুলিশ-সাংবাদিকসহ নিহত ৪০
চলমান সহিংসতায় দেশের বিভিন্ন জেলায় সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ৪০ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে পুলিশ ও সাংবাদিকও রয়েছেন।
৩ দিন সাধারণ ছুটি ঘোষণা
সোমবার থেকে তিনদিন সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনকে এ তথ্য নিশি্চত করেছেন।
১৫ জেলায় নিহত বেড়ে ৩১, ছাত্রদের ঘরে ফেরার আহ্বান জানান, সাধারণ মানুষ
দেশজুড়ে সহিংসতায় দেশের বিভিন্ন জেলায় সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ৩১ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আর আহত ছয়শ’র বেশি। এর মধ্যে ফেনীতে ৫ জন নিহত হয়েছেন। মাগুরা, রংপুর ও বগুড়ায় ৩ জন করে নিহত হন। কুমিল্লা, মুন্সিগঞ্জ, পাবনায় ২ জন করে নিহত। সিরাজগঞ্জ, জয়পুরহাট, লক্ষ্মীপুর, সিলেট, বরিশাল, ভোলায় ১ জন করে নিহত হয়েছে।
এদিকে ব্যাপক সহিংসতার মধ্যে শিক্ষার্থীদের ঘরে ফেরার অনুরোধ জানিয়েছে প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে সরকার। এতে বলা হয়েছে, দেশজুড়ে জঙ্গি হামলা হচ্ছে, কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মুন্সিগঞ্জে দুষ্কৃতিকারীরা সুপার মার্কেট এলাকায় জড়ো হলে তাদের লক্ষ্য করে ককটেল ছোড়া হয়। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছালে ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়। এছাড়া বিভিন্ন জায়গায় অফিস-দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়। ফেনীতে ৫ জন নিহত হয়েছেন। রংপুর নিহত হয়েছেন ৩ জন। আহত ৮ সাংবাদিকসহ ২০ জন। মাগুরায় সংঘের্ষ মারা গেছেন আরও ৩ জন। বগুড়ায় মারা গেছেন ৩ জন। আহত ৪০ জন।
পাবনায়ও মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। কুমিল্লার ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে ফাঁড়ির এক কনস্টেবলকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। দেবীদ্বারে সংঘর্ষে আববদুর রাজ্জাক রুবেল নামে ১ জন নিহত হয়েছেন। আহত ১২ জন।
চট্টগ্রামে দুষ্কৃতিকারীরা-পুলিশ-আওয়ামী লীগের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ১২ সহ আহত ৩৫ জন। এছাড়া সংঘর্ষ হয় নারায়ণগঞ্জ, সিলেট, টাঙ্গাইল, নাটোর, যশোর, ঝিনাইদহ, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, ঠাকুরগাঁও, নীলফামারীসহ বিভিন্ন জায়গায়। এদিকে খুলনা, দিনাজপুর, সিরাজগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর, পটুয়াখালী, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি সড়কে অবস্থান নেয় আন্দোলনকারীরা।
সন্ধ্যা ৬টা থেকে অনির্দিষ্টকালের কারফিউ
রোববার সন্ধ্যা ৬টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করেছে সরকার। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, রোববার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ঢাকা মহানগরসহ সব বিভাগীয় শহর, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, শিল্পাঞ্চল, জেলা সদর ও উপজেলা সদরে সান্ধ্য আইন বলবৎ করা হলো।
ত্রিমুখী সংঘর্ষে ১১ জেলায় ২২ জন নিহত, আহত ৫ শতাধিক
সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে অসহযোগ আন্দোলন কর্মসূচির মধ্যে আন্দোলনকারী, পুলিশ ও আওয়ামী লীগের ত্রিমুখী সংঘর্ষে বেলা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত মোট ২২ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। আর আহত হয়েছেন ৫ শতাধিক।
মাগুরা ও রংপুরে ৩ জন করে নিহত হন। মুন্সিগঞ্জ, বগুড়া, পাবনায় ২ জন করে নিহত। কুমিল্লা, সিরাজগঞ্জ, জয়পুরহাট, বরিশাল, ভোলায় ১ জন করে নিহত হয়েছে।
ত্রিমুখী সংঘর্ষে ৭ জেলায় নিহত ১১, আহত ২ শতাধিক
সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে অসহযোগ আন্দোলন কর্মসূচির মধ্যে আন্দোলনকারী, পুলিশ ও আওয়ামী লীগের ত্রিমুখী সংঘর্ষে বেলা ২টা পর্যন্ত মোট ১১ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে মুন্সিগঞ্জ, রংপুর, বগুড়া, পাবনায় ২ জন করে নিহত হয়েছে। মাগুরা, কুমিল্লা ও বরিশালে একজন করে নিহত হয়েছে।