আন্দোলনের নামে শান্ত খুলনাকে আবার অশান্ত করার অপচেষ্টা দৃশ্যমান হচ্ছে। স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী ফেসবুক-ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরকার বিরোধী অপপ্রচার ও গুজব ছড়াচ্ছে। তাই ইন্টারনেটে কোন তথ্য লাইক-শেয়ার করার আগে আবশ্যই সেটি গুজব বা অপতথ্য কিনা তা যাচাই করা উচিত। একই সাথে ইন্টারনেটভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে সবাইকে সচেতনতার পরিচয় দেয়া দরকার।
আজ ১ আগষ্ট (বৃহস্পতিবার) দুপুরে খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত জেলা সন্ত্রাস ও নাশকতা প্রতিরোধ কমিটির সভায় অংশগ্রহণকারীরা এসকল কথা জানান। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন।
সভায় জানানো হয়, দেশবিরোধী অপশক্তি বা এর অনুসারীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোয় অধিক সক্রিয় বলে প্রতীয়মান হয়। ইতিবাচক ও সৃজনশীল মানসিকতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের এসকল মাধ্যমে সক্রিয়তা বাড়ানো এখন সময়ের দাবী। মেধা দিয়ে গুজব প্রতিরোধ করতে হবে। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি বা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর চেষ্টা বিষয়ে যে কোন তথ্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানানো সচেতন নাগরিকের কর্তব্য। শিল্পনগরী খুলনার বিভিন্ন সেক্টরে কর্মরত শ্রমিকসহ অন্যান্য জনগোষ্ঠীকে ভুল বুঝিয়ে দেশবিরোধী প্রতিক্রিয়াশীল চক্র যেন তাদের দলে টানতে না পারে সে দিকে নজর দেয়া দরকার। সরকারি-বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তারক্ষায় ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা সার্বক্ষণিক সক্রিয় রাখতে হবে। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে গতকাল (বুধবার) আটক শিক্ষার্থীদের ইতোমধ্যে তাদের অভিভাবক বা শিক্ষকদের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
সভায় খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার (সদর) মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান, রেলওয়ে পুলিশের পুলিশ সুপার মোঃ রবিউল হাসান, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ-৬ এর পুলিশ সুপার কানাই লাল সরকার, সিভিল সার্জন ডাঃ শেখ শফিকুল ইসলাম, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মোঃ আলমগীর কবির, খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এস এম নজরুল ইসলামসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।