কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে জনবসতি এলাকায় পোল্ট্রি ফার্ম নির্মাণ করে পরিবেশ দূষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত ৩১জুলাই বুধবার উপজেলার গোবরিয়া আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর কাঁচারীপাড়া গ্রামের মৃত মজলু মিয়ার ছেলে মো. আলী সোহেল (৩৮) উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মো. আলী সোহেলের প্রতিবেশী মৃত মো. ফজলু মিয়ার ছেলে মো. বকুল মিয়া (৫০) লক্ষ্মীপর কাঁচারীপাড়া গ্রামে জনবসতিপূর্ণ এলাকায় পোল্ট্রি ফার্ম নির্মাণ করে বহুদিন ধরে পরিবেশ দূষণ করে আসছে। যার ফলে এলাকার পরিবেশ দিনদিন খারাপের দিকে যাচ্ছে। এছাড়া পরিবেশ দূষিত হচ্ছে মারাত্মকভাবে। যার প্রভাবে চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে আশেপাশের বসবাসকারী শিশু থেকে শুরু করে মধ্য বয়সীসহ বৃদ্ধ বয়সী সবাই। দূর্গন্ধের ফলে আশেপাশের বসবাসকারী সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে। অসহনীয় দূর্গন্ধ ও পরিবেশ দূষিত হওয়ার ফলে ঐ এলাকায় প্রতিনিয়ত বাড়ছে ডায়রিয়া, আমেশা, জ্বর, কোষ্ঠকাঠিন্য ও শ্বাসকষ্টসহ নানান রোগব্যাধি। তাছাড়া পোল্ট্রি ফার্মটি আলী সোহেলের বসতি ঘরের সম্মুখে এবং বসত ঘরের সীমানা প্রাচীর নিয়ে হওয়ায় তার বৃদ্ধ মা সহ পরিবার নিয়ে স্বাভাবিক কাজকর্ম ও বসবাস করা অসম্ভব হয়ে দারিয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন আলী সোহেল। এভাবে পরিবেশ দূষণ চলতে থাকলে নিজের ভিটা বাড়ি ছেড়ে পরিবার নিয়ে অন্যত্র চলে যাওয়া ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না বলে জানান তিনি।
জনবসতি এলাকার ৫০০ গজ দূরত্বে মুরগি ও ডিম উৎপাদনের ফার্ম করার নিয়ম থাকলেও প্রতিবেশী বকুল মিয়া এসব নিয়ম-কানুন মানছেন না। এমনকি তার নিকট নেই পরিবেশ ছাড়পত্র ও প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের রেজিস্ট্রেশন।
বসত বাড়ির আঙ্গিনায় পোল্ট্রি ফার্ম নির্মাণকালে জনদূর্ভোগ ও তাদের অসুবিধার কথা উল্লেখ করে গ্রামের ভিতর বসতি এলাকায় পোল্ট্রি ফার্ম নির্মাণ করতে বাঁধা নিষেধ করা সত্ত্বেও কোন ধরনের নিষেধ তোয়াক্কা না করে পোল্ট্রি ফার্ম নির্মাণ করে মুরগী পালন করছে মো. বকুল মিয়া।
এর ফলে প্রতিনিয়তই ফার্ম পরিস্কার করার সময় ফার্মের মুরগী বিষ্ঠা ও ময়লার দূর্গন্ধযুক্ত পানি আলী সোহেলের বসত ঘরের আঙ্গিনা দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার ফলে অনেক দূর্ভোগের শিকার হচ্ছেন আলী সোহেলের পরিবার। এমনকি এই দূর্ভোগের কথা বলতে গিয়ে একাধিকবার বিভিন্ন হুমকি ধামকির শিকার হতে হচ্ছে আলী সোহেল ও তার পরিবারকে।
দূর্ভোগ থেকে পরিত্রাণ পেতে পোল্ট্রি ফার্মটি অন্যত্র সরিয়ে নিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ দাবী জানান তিনি।
এব্যাপারে অভিযুক্ত মো. বকুল মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে বসত বাড়ি সংলগ্ন মুরগীর ফার্ম নির্মাণ করার কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, আলী সোহেল যা পারে তা করুক।
অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারজানা আলম বলেন, বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।