আজ ২৯ জুলাই সোমবার বিশ্ব বাঘ দিবস।বাঘের
প্রাকৃতিক আবাম রক্ষা করা এবং বাঘ সংরক্ষণের জন্য সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনা তৈরির লক্ষে
প্রতি বছরের ২৯ জুলাই বিশ্ব বাঘ দিবস পালন করা হয়।২০১০ সালে সেন্ট পিটার্সবার্গে অনুষ্ঠিত বাঘ অভিবর্তনে এ দিবসটির সূচনা হয়।
এ বছর বাঘ দিবসে সুন্দরবনে বাঘ শুমারির ফলাফল প্রকাশ করার কথাছিল।কিন্তু তা হচ্ছেনা।
বনকর্মকর্তারা জানান, আন্দোলন ও কারফিউর কারণে ইন্টারনেট সংযোগ বন্দ থাকায় কাজ সমপন্ন করা যায়নি।সেজন্য আগামী আগষ্ট মাসে ফল ঘোষণা করা হবে।
এর আগে ২০২৩ সালের ৫ নভেম্বর দুপুরে সুন্দরবন
পুর্ব বন বিভাগের হাড়বাড়িয়া ইকো-ট্যুরিজম কেন্দ্রে বাঘ গণণার জরিপ কাজের উদ্বোধন করেন সাবেক
পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্তণালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার।
বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্প পরিচালক ও সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় (ডিএফও) বন কর্মকর্তা ড. আবু নাসের মোহসিন হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, সম্প্রতি সময়ে বেশ কিছুদিন ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় গণনার কাজ শেষ করতে পারিনি। মেইলে তথ্য আদান প্রদান করা কিংবা অনলাইন ভিত্তিক জুম মিটিং না করতে পারার কারণে বাঘ দিবসে বাঘশুমারির ফলাফল প্রকাশ করা সম্ভব হলো না। আগস্ট মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে আশা করছি ফলাফল প্রকাশ করতে পারবো। তিনি আরও বলেন,‘ক্যামেরা ট্র্যাপিং’ পদ্ধতিতে বাঘ গণনা করা হয়েছে। ১২১৬ টি ক্যামেরা নিয়ে প্রায় ৪৫ জনের একটি গবেষণা টিম বাঘ গণনার কাজ করেছেন। উল্লেখ্য, সুন্দরবনে প্রথম বাঘ জরিপের কাজ শুরু হয় ২০১৩-১৪ সালে। সেই জরিপে ১০৬টি বাঘ সুন্দরবনে আছে বলে জানা যায়। ২০১৮ সালে সর্বশেষ জরিপে সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ছিল ১১৪টি।