আজ শনিবার সকালে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) চিকিৎসাধীন আহত ব্যক্তিদের দেখতে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ শনিবার সকালে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) চিকিৎসাধীন আহত ব্যক্তিদের দেখতে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।ছবি: বাসস
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ শনিবার সকালে ক্ষতিগ্রস্ত সেতু ভবন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ পরিদর্শন করেছেন।
তিনি এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের টোল প্লাজার ক্ষয়ক্ষতিও ঘুরে দেখেন। এর আগে তিনি জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) চিকিৎসাধীন আহত ব্যক্তিদের দেখতে যান।
সেতু ভবনে ঢোকার পর সজল চোখে তিনি বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত অংশ দেখে হতবাক হয়ে যান। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
১৮ জুলাই সেতু ভবনে ভাঙচুর ও আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। ভবন থেকে সরকারি সম্পত্তি লুট করা হয়। অনেক যানবাহন ও মোটরবাইক ভাঙচুর, বিভিন্ন শেড ও কক্ষ তছনছ করা হয় এবং আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। সেতু ভবনের অনেক কর্মচারীকে মারধর করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী পরে মহাখালীতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ পরিদর্শন করেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনার বিভিন্ন অংশ ঘুরে ঘুরে দেখেন।
সেতু ভবন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ভবন দুটির ধ্বংসযজ্ঞের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেন।
এর আগে পঙ্গু হাসপাতালে গিয়ে সরকারপ্রধান গুরুতর আহত চিকিৎসাধীন কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাঁদের চিকিৎসার খোঁজখবর নেন। কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী সংঘাতে আহত ব্যক্তিদের অনেকে এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
প্রধানমন্ত্রী আহত ব্যক্তিদের যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দেন। তিনি আহত ব্যক্তিদের অবস্থা দেখে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।
হাসপাতালের পরিচালক ড. কাজী শামীম উজ্জামান আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে জানান। শেখ হাসিনা আহত ব্যক্তিদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় সব ধরনের পদক্ষেপ নিতে বলেন।