অতিবৃষ্টি-অনাবৃষ্টি ও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ধান ও সবজি চাষ করে বার বার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার পলিপ্রয়াগপুর ইউনিয়নের শ্রীপুর দাঁড়ারপাড় গ্রামের কৃষক আব্দুস সালাম ।
এমন পরিস্থিতিতে বিকল্প হিসাবে আখ চাষ করতে শুরু করেছেন তিনি। ‘ফিলিপাইন ব্ল্যাক’ জাতের আখআখ চাষের মাধ্যমে ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখছেন কৃষক আব্দুস সালাম।
আখ চাষি আব্দুস সালাম জানান, ধান-সবজি চাষ করে প্রতি বছর লোকসান গুণতে হয়। বিকল্প হিসাবে ২০ শতক জমিতে আখচাষ করতে শুরু করেছি। শুরুতেই অন্যান্য ফসলের চেয়ে আখের ফলন বেশ ভালো হয়েছে। গত দু’সপ্তাহ আগে বৃষ্টিতে আখক্ষেতে কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে অবহাওয়া পরিবর্তন হওয়ায় সে দুশ্চিন্তা অনেকটা দূর হয়েছে। আখ চাষ বেশ লাভজনক হওয়ায় এটি চাষের মাধ্যমে অতীতের লোকসান কাটিয়ে উঠার স্বপ্ন বুনছেন আব্দুস সালাম। আগামীতে ৪-৫ বিঘা জমিতে আখ চাষ করবেন বলে জানান।
দাঁড়ারপাড় গ্রামের বাসিন্দা নজরুল ইসলাম বলেন, এখন থেকে ৬০-৭০ বছর আগে আমাদের বাপ-দাদা’রা ও আশপাশের অনেক কৃষক শত শত বিঘা জমিতে আখের চাষ করতেন। মাঠের পর মাঠ শুধু আখ আর আখ। ধানের চাষ তুলানমূলক খুবই কম ছিল।
পাশ্ববর্তী দূর্গাপুর গ্রামের প্রবীণ বাসিন্দা আবু তালেব বলেন, এ এলাকায় বহুদিন ধরে দেখা নেই আখ চাষের। লোক মুখে শুনেছি দাঁড়ারপাড় মাঠে কৃষক সালাম আখ চাষ করেছেন। দেখতে গিয়েছিলাম কেমন হয়েছে আখের ক্ষেত। ঠিক আগের মতই ভালো ফলন হয়েছে।
বিরামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ কমল কৃষ্ণ রায় জানান, এ বছর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আখের চাষ করা হয়েছে। আখ একটি লাভজনক ফসল। ফলন ভালো হলে প্রতি হেক্টর জমি থেকে ১০- ১২ লাখ টাকার আখ বিক্রি করা সম্ভব। এটি চাষের মাধ্যমে চাষিরা লাভবান হতে পারেন।