কোটার পক্ষে রিটকারীদের আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক বলেছেন, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ২০১৮ সালে কোটার বিষয়ে দেয়া প্রজ্ঞাপন বাতিল করে হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছিলো সেটি বাতিল করে দিয়েছে।
“হাইকোর্টের রায় দীর্ঘ শুনানির পর আপিল বিভাগ রদ ও রহিত করেছে। অর্থাৎ হাইকোর্ট ডিভিশনের রায় বাতিল বলে গণ্য করা হলো। একই সাথে আর্টিক্যাল ১০৪ অনুযায়ী কোটা প্রথার একটি চূড়ান্ত সমাধান দিয়েছেন,” সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে বলছিলেন তিনি।
তিনি বলেছেন, কোটা পুরোপুরি বাতিলের বিরুদ্ধে রিট করা হয়েছিল। তারাও সংস্কারের পক্ষে বলেছিল, আমরাও সংস্কারের পক্ষে বলেছিলাম। আদালত সেই আদেশ দিয়েছেন।
মি. হক বলেন আপিল বিভাগ মেধার জন্য ৯৩ শতাংশ, মুক্তিযোদ্ধা ও পরিবারের জন্য ৫ শতাংশ,ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ১ শতাংশ এবং প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের জন্য এক শতাংশ কোটা রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন।
“রায়ে বলা হয়েছে যেহেতু বিষয়টি পলিসি ম্যাটার তাই নির্বাহী বিভাগ পরবর্তীতে প্রয়োজন হলে পরিবর্তন, পরিবর্ধন বা সংস্কার করতে পারবে। একই সঙ্গে তিন মাসের মধ্যে গেজেট জারি করে আপিল বিভাগকে জানাতে আদালত নির্দেশনা দিয়েছেন”।
শাহ মঞ্জুরুল হক বলেছেন, আদালত আশা প্রকাশ করেছেন যে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা এখন যেন ক্লাসে ফিরে যায় এবং আদালতের প্রতি সম্মান দেখিয়ে আন্দোলন বন্ধ করে।একই সঙ্গে অভিভাবকদের বলা হয়েছে অভিভাবকরা যেন শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে ক্লাসে ফিরে যেতে বলে।
“এটি একটি ঐতিহাসিক রায়। এ রায় যেন সবাই মেনে নেন। শিক্ষার্থীরা যেন ঘরে ফিরে যান। তৃতীয় পক্ষ যেন ঘোলা পানিতে আর মাছ শিকার না করেন,” ব্রিফিং এ বলছিলেন মি. হক।
তিনি জানান আদালত সাম্প্রতিক সহিংসতায় নিহতদের ঘটনা তদন্তের কথা বলেছেন এবং বিচারপতির নেতৃত্বে যে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি করা হয়েছে তাকে সবাই সহযোগিতা করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন।