কোটাবিরোধী আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। আগামীকাল বিকেল ৩টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ঐক্য সমাবেশ ও মিছিল করবে দলটি। একই কর্মসূচি পালন করবে দেশের সব মহানগর ও জেলা সদরে।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতির মাধ্যমে এ কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেছেন‘ছাত্রসমাজের চাকরিতে কোটা সংস্কারের ন্যায়সংগত আন্দোলনকে যুক্তি দিয়ে সামাধানের পরিবর্তে সরকার শক্তি দিয়ে থামিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টায় সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। সারা দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অঞ্চলে অগনিত ছাত্র-জনতাকে খুন করা হয়েছে।
আজ দেশের সব সচেতন, দেশপ্রেমিক মানুষ সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ। তারা দাম্ভিক শাসকদের নির্মমতা ও অপশাসন থেকে মুক্তি চায়।
যে সরকারের হাতে আমাদের সন্তানেরা নির্মমভাবে খুন হয়েছে সেই সরকারের কাছে খুনের তদন্ত কিংবা বিচার নয়- জনগণ এ সরকারের বিদায় চায়।
তিনি বলেন, ‘আমরা ছাত্রছাত্রীদের ন্যায্য দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান দাবি করেছিলাম। কিন্তু অসংখ্য শহীদের রক্তে সেই সমঝোতার পথ সরকার নিজেই রুদ্ধ করে দিয়েছে। ক্ষমতার অপপ্রয়োগকারী শাসক গোষ্ঠীর সামনে এখন ব্যর্থতা ও খুনের দায়ে পদত্যাগের কোনো বিকল্প নেই।
বিএনি কি দেশে তাদের সন্তানদের সরকারের বিরুদ্ধে বর্বরতা এবং রক্তপাত দেখতে চায় না। তবে সংস্কারের নামে কি রাজনৈতিক পয়দা নিতে চায় বিএনপি? এবিষয়ে সাধারণ জনগণের ও প্রশ্ন থাকতে পারে। তবে জানা যায় যে প্রত্যেক আন্দোলনকারী ছাত্র সমাজের মা-বাবাও সচেতন আছেন তারা কি করতে গিয়ে কি হচ্ছে বাংলাদেশ?
তাহলে আমাদের সন্তানরা কি সংঘাতের দিকে যাচ্ছে না তো-?
তিনি বলেন আমরা কোটা সংস্কারের দাবি নিয়ে মাঠে নেমেছি কোন রাজনৈতিকের দলের জন্য জন্য নয়।
তারা চলমান নির্মমতা ও অনিশ্চয়তার অবসানের লক্ষ্যে সরকারের পদত্যাগ চায়। জনগণের কাছে দায়বদ্ধ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ফিরে পেতে চায়। আমরা জনদাবির সাথে একমত। চলমান গণআন্দোলনকে আরো বেগবান করার জন্য আমরা দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।।
‘এই দাবির সমর্থনে আগামীকাল শুক্রবার বিকেল ৩টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয় ঐক্য সমাবেশ ও মিছিলে অংশগ্রহণের জন্য আমরা সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। একই সময়ে একই দাবিতে দেশের সব মহানগর ও জেলা সদরে অনুরূপ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠানের জন্যও আমরা আহ্বান জানাচ্ছি।’