ঢাকাবৃহস্পতিবার , ১৮ জুলাই ২০২৪
  1. অভিযোগ
  2. অর্থনীতি
  3. আইন আদালত
  4. আটক
  5. আন্তর্জাতিক
  6. আবহাওয়া
  7. আলোচনা সভা
  8. ইতিহাস
  9. এক্সক্লুসিভ নিউজ
  10. কক্সবাজার
  11. কচুয়া
  12. কবিতা
  13. কিশোরগঞ্জ
  14. কুড়িগ্রাম
  15. কুমিল্লা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ত্রিমুখী সংঘর্ষে নাটোর রণক্ষেত্র, পুলিশ সুপারসহ আহত

প্রতিবেদক
admin
জুলাই ১৮, ২০২৪ ১০:৩৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে কোটাবিরোধী শিক্ষার্থী পুলিশ ও ছাত্রলীগের ত্রিমুখী সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে নাটোর ।

 পুলিশের ছোঁড়া রাবার বুলেটে গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এছাড়া সংঘর্ষে পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলামসহ আহত হয়েছে অন্তত ১০ জন। তাদেরকে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
সকালে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী শহরের শহরের কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে অবস্থান নিয়ে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের নামে সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা। এ সময় বিক্ষোভকারীরা মিছিল শুরু করলে তাদেরকে লক্ষ্য করে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা ধাওয়া দেয়। পরে পুলিশ কোটাবিরোধীদের ছত্রভঙ্গ করতে সাউন্ড গ্রেনেড, রাবার বুলেট ও টিয়ার সেল নিক্ষেপ করে। দফায় দফায় সেখানে পুলিশের সাথে ছাত্রদের সংঘর্ষ চলে। পুলিশের ছোড়া রাবার বুলেটে এ সময় ফাহাদ ইবনে জাহিদ রাহী নামে এক ছাত্র আহত হয়। সে শহরের বঙ্গজল উপর বাজার এলাকার জাহিদ আলীর ছেলে।
পুলিশের অব্যাহত হানায় বিক্ষোভকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। পরে বৈষম্য বিরোধীরা শহরের মাদ্রাসা মোড়ে অবস্থান নেয়।

এ সময় তারা সেখানে বিক্ষোভ মিছিল করতে থাকে। টায়ার  জ্বালিয়ে ও ভাঙচুর চালিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে শিক্ষার্থীরা। পরে সমবেত হয়ে  পুলিশ সেখানেও সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়ার চেষ্টা করলে সংঘর্ষে রূপ নেয়। ঘন্টা ব্যাপী সেখানে সংঘর্ষে কয়েকজন আহত হয়। শিক্ষার্থীরা শহরের কেন্দ্রীয় গোরস্থান সহ বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিলেও পুলিশ সেখানে হানা দিয়ে তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
বর্তমানে শহরের কেন্দ্রীয় মসজিদ এলাকায় পুলিশ ও সরকারদলীয় সমর্থকরা অবস্থান নিলেও শহর জুড়ে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে ‌। নতুন করে ছাত্ররা যাতে একত্রিত হতে না পারে সে ব্যাপারে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আহত রাহীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে চিকিৎসা দেওয়া হলেও পরিবারের পক্ষ থেকে তার অবস্থা সংকটাপণ্য বলে দাবি করা হয়েছে। ‌
তবে এ ব্যাপারে নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমানের সাথে বারবার যোগাযোগ করেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।

Don`t copy text!