মোঃ হামিদুল ইসলাম
কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলায় ‘ভূমিদস্যু ইয়াসিন,সাদ্দাম ও ডিবি পুলিশের কনস্টেবল গোলাপি বেগমের হাত থেকে পরিত্রাণ পেতে মানববন্ধন করেছে চরবাসী।
সোমবার (১৫ জুলাই) দুপুরে উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের জমিদার বাড়ির সামনে মানববন্ধনে অংশ নেয় চর পেঁচাই, চর গোরকমন্ডল ও চার খাড়ুয়ার প্রায় দুই শতাধিক নারী পুরুষ। এসময় বক্তব্য রাখেন, স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য আমিন হোসেন, আজিজুর হক, শহিদুল ইসলাম, ছড়া বেগম ও জয়মুদ্দিন প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘ভূমিদস্যু ইয়াসিন,সাদ্দাম ও ডিবি পুলিশের কনস্টেবল গোলাপি বেগম দীর্ঘদিন যাবত চরের সহজ সরল মানুষের জমি জোর পূর্বক দখল ও মিথ্যা মাদক মামলা দিয়ে হয়রানি করে আসছে। তাদের কাছে অসহায় হয়ে পড়েছে চরের প্রায় অর্ধশত পরিবার।
হয়রানি ও মিথ্যা মাদক মামলা থেকে বাঁচতে সরকারের সু-সৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
গোরকমন্ডলের আজিজুর হক বলেন, তারা দুই ভাই আমার জমি আমিন দিয়ে মাপি বের করি দিবার চায়া ৪০ হাজার টাকা নিছে। এখন এই টাকাও নাই জমিও পাইলং না।
ছড়া বেগম নামের এক নারী বলেন, আমার স্বামী আবু বক্কর সিদ্দিকের নামে কোন কালে চরে জমি ছিল না। এখন শুনি তার নামের জমি আছে, সে জমি নাকি সাদ্দাম কিনছে। এগলা সব ভুয়া কাগজ। ভেন্ডার তুহিন আর শহিদুল এসব বানাইছে।
গজেরকুটির শহিদুল ইসলাম বলেন, ফুলবাড়ীর রেজিস্ট্রার অফিসের আগে আমাদের লালমনিরহাটের ভূমি অফিস ছিল। সেখানকার বালাম এবং থাম বইয়ের যে পৃষ্ঠা গায়েব সেসব পৃষ্ঠার দলিল নাম্বার ব্যবহার করে জাল দলিল করে যাতে প্রমাণ করার সুযোগ না থাকে। ভূমি অফিসের অসাধু চক্র পাকিস্তান আমলের জাল স্টাম তৈরি করে ভুয়া দলিল বানায়। তারা ভূমি অফিসের কাগজপত্রও গায়েব করে।
ওই ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য আমিন হোসেন বলেন, এই দুই ভাইয়ের যন্ত্রনায় চরের মানুষ অতিষ্ঠ। তাদের জমির বিচার করতে গিয়ে আমারও হেনস্তার শিকার হতে হয়েছে। সাদ্দামের বৌয়ের ষড়যন্ত্রে আমার ভাতিজার নামে মিথ্যা পরিত্যক্ত মাদক মামলা দেয়। পরবর্তীতে পিবিআইয়ের মাধ্যমে তদন্তে এই মাদককান্ডের মূল হোতা ইয়াসিনের নাম বের হয়ে আসলে তার নামে উল্টো মামলা হয়।