ওসমান গনি
মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ
মুন্সীগঞ্জের টংগিবাড়ীতে পুলিশের উপস্থিতিতে পাঁচগাও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুমন হালদার (৪৫) হত্যা মামলার পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তার ও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচি শেষে মামলার অন্যতম দুই আসামি ইউনিয়নটির সাবেক চেয়ারম্যান মিলেনুর রহমান মিলন ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মুন্সিগঞ্জ ২ আসনে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী জাহানুর রহমান সওদাগরের বাড়িতে আগুন দেয়া হয়েছে।
এসময় আসামিপক্ষের বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ভাঙচুর করে বিক্ষুব্ধরা। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
পাঁচগাও গ্রামের আলহাজ ওয়াহেদ আলী দেওয়ান উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে কর্মসূচিটি শুরু হয়। বিক্ষোভ মিছিল বের করেন আয়োজকরা। এতে দুই-তিন শতাধিক লোকজন অংশ নেয়। মিছিলটি কিছুদুর এগোনোর পর মিছিল থেকেই অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এসময় সাংবাদিকরা উপস্থিত থাকলেও মিছিলকারীরা তাদের নিরাপদ দূরত্বে সরে যেতে বলেন।
অগ্নিসংযোগের বিষয়ে মুন্সিগঞ্জ পুলিশ সুপার আসলাম খান বলেন, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মানববন্ধন শেষে হঠাৎ করেই আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। আগুন নিয়ন্ত্রণ আনা হয়েছে। এ ঘটনার তদন্ত করা হবে। অগ্নিসংযোগকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, পাঁচগাও আলহাজ ওয়াহেদ আলী দেওয়ান উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদ্য নির্বাচিত সভাপতি মনিরুজ্জামান দেওয়ান, আওয়ামী লীগ নেতা মিজানুর রহমান হাওলাদার, ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রতন চন্দ্র বিশ্বাস, নিহতের ছোট ভাই লিমন হাওলাদার, সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল জব্বার, সাবেক ইউপি সদস্য আয়েশা বেগমসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
উল্লেখ্য, গেল রোববার (৭ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পাঁচগাও আলহাজ্ব ওয়াহেদ আলী দেওয়ান উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ইউপি চেয়ারম্যান সুমন হাওলাদারকে গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। দুপুর পৌনে ২ টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মারা যান তিনি।
ঘটনাস্থল থেকে স্থানীয়দের সহায়তায় কাওসার, শেকেনুর, ও নুর হোসেন নামে ৩ ব্যক্তিকে আটক করে নিয়ে আসে পুৃলিশ। পর দিন নিহত চেয়ারম্যানের ছোট ভাই ইমন হালদার বাদি হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ২/৩ জনকে আসামি করে টংগিবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার অন্যতম আসামি ইউনিয়নটির সাবেক চেয়ারম্যান মিলেনুর রহমান মিলন ও জাহানুর রহমান সওদাগর।
কিন্তু মামলার প্রধান আসামি নুর মোহাম্মদকে এখনো ধরতে পারেনি পুলিশ। এ নিয়ে মানববন্ধনকারীরা ক্ষোভ জানান এলাকাবাসী।