মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের আমলে
এলজিইডি সারাদেশে উন্নয়ন কাজের মাধ্যমে ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে:.নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আহসান কবির।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) বাংলাদেশ সরকারের একটি অন্যতম সাংগঠনিক অধিদপ্তর। ৬০- এর দশকে পল্লীপূর্ত কর্মসূচি বাস্তবায়নের মধ্যদিয়ে কার্যক্রম শুরু করলেও সময়ের পরিক্রমায় এর পরিধি ব্যাপকভাবে বিস্তৃত হয়েছে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শুরু করে শহরের সীমানায় রয়েছে এলজিইডির বিশাল কর্মযজ্ঞ। গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি এলজিইডি শহর ও নগর অঞ্চলেও অবকাঠামো উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে। নগর স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহকে (পৌরসভা ও সিটি কর্পোরেশন) কারিগরি সহায়তা প্রদান ও এসব প্রতিষ্ঠানের পরিচালন ব্যবস্থা ও দক্ষতা উন্নয়নেও এলজিইডি সম্পৃক্ত। চাঁদপুর জেলায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদফতর (এলজিইডি) ব্যাপক উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। চাঁদপুর-৩ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী ডা. দীপু মনি এবং জেলার অন্যান্য মাননীয় সংসদ সদস্য মহোদয়গন এসব উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা রাখছেন।
এলজিইডি চাঁদপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আহসান কবির বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা ও সুযোগ্য নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রয়েছে। দেশের উন্নয়ন সাফল্য অর্জিত হয়েছে। এ সাফল্য অর্জন আজ বিশ্ব দরবারে রোল মডেল হিসেবে পরিচিত লাভ করেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের আমলে সারাদেশে এলজিইডি উন্নয়ন কাজ রেকর্ড গড়েছে। কারণ অতীতে অন্য কোনো সরকারের আমলে এত বেশি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়নি। এছাড়াও স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী
মো: তাজুল ইসলাম এবং এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী মো: আলি আখতার হোসেন স্যারের ঐকান্তিক চেষ্টা ও আন্তরিকতায় সারা দেশের ন্যায় চাঁদপুরের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা নিরবচ্ছিন্ন রাখায় জন্য সময়ান্তর রক্ষণাবেক্ষণের পাশাপাশি মোবাইল মেনটেনেন্স কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। ফলে কম খরচে অধিক সংখ্যক মেরামত করা সম্ভব হচ্ছে।
এলজিইডি দেশের অন্যতম বৃহৎ প্রকৌশল সংস্থা। পল্লি অঞ্চলের সড়ক যোগাযোগ এবং হাট-বাজার ও গ্রোথ সেন্টার উন্নয়নের মাধ্যমে গ্রামীণ অর্থনীতিকে গতিশীল করতে এলজিইডি যে অবদান রেখেছে তা আজ দৃশ্যমান। দেশের ক্রমবর্ধমান প্রবৃদ্ধি অর্জনে এসব অবকাঠামোর অবদান অপরিসীম। প্রত্যন্ত পল্লির মানুষ আজ সর্বোচ্চ দুই কিলোমিটারের মধ্যে পাকা সড়ক ব্যবহারের সুবিধা পাচ্ছে। মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও দারিদ্র্য বিমোচনে পল্লির এসব অবকাঠামো ব্যাপক ভূমিকা রাখছে।
তিনি বলেন, দেশের কৃষি ও মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধিতেও এলজিইডি বিশেষ ভূমিকা পালন করছে। সারাদেশে ক্ষুদ্রাকার পানি সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে স্থানীয় অংশীজনদের অংশগ্রহণে প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন এবং পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণের ফলে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে। স্থানীয় পর্যায়ে গ্রামীণ ও নগর অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি এসব অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ এবং স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহকে বিভিন্ন বিষয়ে কারিগরি সহায়তা প্রদান এলজিইডির কর্মতালিকার অংশ। একই সঙ্গে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে প্রয়োজনীয় কারিগরি সহায়তা দিয়ে থাকে এলজিইডি।
মো: আহসান কবির বলেন, উন্নয়ন প্রকল্প প্রণয়নে অবকাঠামোর তথ্যভান্ডার, ম্যাপ, কারিগরি বিনির্দেশ (টেকনিক্যাল স্পেসিফিকেশন), ম্যানুয়াল ইত্যাদি প্রণয়ন এবং দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টি ও কর্মদক্ষতা বাড়াতে সংস্থার নিজস্ব কর্মকর্তা/কর্মচারী, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য অংশীজনদের জন্য নিয়মিত প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে এলজিইডি।
নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, এলজিইডি দেশের অন্যতম বৃহৎ প্রকৌশল সংস্থা। টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে। এ উন্নয়ন সাফল্য অর্জনে বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ, উন্নয়ন ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় সড়কপথ নির্মাণকাজে এলজিইডি গ্রামকে শহরে রূপান্তরিত কাজে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে।