গতকাল দুবাইয়ের দেরার একটি হোটেলে প্রবাসীদের উদ্যোগে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। প্রবাসী জাহাঙ্গীর আলমের ৩ কোটি টাকা আপন বোন, ভগ্নিপতি ও ভাগিনারা হাতিয়ে নিয়েছেন এমন অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, দুবার প্রবাসী কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ ও গণমাধ্যমকর্মীরা।
সংবাদ সম্মেলনে জাহাঙ্গীর আলমের লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করে বলেন, “আমাদের ৬ ভাই এবং এক বোনের সংসার। বড় বোন রেজিয়া বেগমের সংসারে টানাপোড়েন থাকায় বিশ্বাস করে টাকা-পয়সা বোন ও ভগ্নিপতিকে রক্ষণাবেক্খনের দায়িত্ব দেই। তখন আমাকে ফুসলিয়ে নিজের বাড়ি করার জন্য ৭০ লাখ টাকা ধার নিয়েছেন। নিজেদের আখের গোছানোর পর আমাকে জমি কিনে বাড়ি তৈরি করার প্রলোভন দেখান। ৬ শতাংশ জমি কেনার দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে পুনরায় ৬২ লাখ টাকা নিয়েছেন বোন। তারপর আমার নামে পুরো জমি রেজিষ্ট্রি না করে যৌথভাবে ভগ্নিপতির নামে জমি রেজিস্ট্রি করেন। এরপরও থেমে থাকেনি তারা। অভিনব কায়দায় ওই জমিতে বাড়ি করার জন্য আবার আমার কাছ থেকে ৫৫ লাখ টাকা নেন বোনের পরিবার। পরবর্তীতে জানতে পারি ভগ্নিপতি প্রতারণা করে আমার জমির মধ্যে তার নামেও রেজিস্ট্রি করে নেন উক্ত জমি। তখন আমার সম্পূর্ণ টাকা ফেরত চাইলে আমাকে এবং আমার পরিবারকে হুমকি ধামকি দিতে থাকেন। এক পর্যায়ে বোনের কাছে আমার রক্ষিত স্বাক্ষর করা ব্যাংকের চেকবুক জালিয়াতি করে ৯০ লাখ টাকার মামলা করেন। পরে আমি বোনের জালিয়াতির বিরুদ্ধে কাউন্টার মামলা করলে বোনের পরিবার তেলেবেগুনে জ্বলে উঠেন। শুরু করেন আমার ভাইদের প্রতি নির্যাতন। আমি দুবাই থাকায় ভাইদের বিরুদ্ধে পুনারায় চুরি, ডাকাতিসহ বিভিন্ন ধারায় মামলা দিয়েছেন। বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি আমি ও আমার পরিবার।”
এদিকে ফেনী জেলার দাগণভূঁঞা থানায় রক্তের সঙ্গে রক্তের বেঈমানীর ঘটনা নিত্যনৈমিত্তিক চোখে পড়ে। তেমনি ঘটে গেল দুবাই প্রবাসী জাহাঙ্গীর আলমের পরিবারের সঙ্গে এই ঘটনা। জাহাঙ্গীর আলমের আপন বোন প্রবাসী ভাইকে সর্বস্বান্ত করে দিয়েছে। যা বাংলাদেশের ইতিহাসে বিরল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। বর্তমানে সবকিছু হারিয়ে মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন দুবাই প্রবাসী জাহাঙ্গীর আলম। প্রবাস থেকে দেশে যাওয়ার সব রাস্তা বন্ধ করে লুটপাট করেছেন তার সহায়-সম্পত্তি, টাকা পয়সা ও গহনা। প্রতারণার অভিনব কায়দা অবলম্বন করে হাতিয়ে নিয়েছেন টাকা পয়সা, সম্পত্তিসহ সব কিছুই। আপন বোন, ভগ্নিপতি এবং ভাগিনারা অত্যন্ত কৌশল করে দীর্ঘদিনের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে হাতিয়ে নিয়েছেন তার ৩ কোটি টাকার সম্পত্তি। জাহাঙ্গীর আলমকে মেরে ফেলার পরিকল্পনাও করেছেন আপন বোন রেজিয়া বেগম ও তার স্বামী নূর ইসলাম।