শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৫২ অপরাহ্ন
শিরোনাম
শিরোনাম
না ফেরার দেশে চলেগেলেন দাকোপের বাজুয়ার অয়ন মন্ডল ঠাকুরগাঁওয়ে ‘এসএসসি ৯৫’ ব্যাচের আহবায়ক কমিটি গঠন রংপুরের ভাষা সৈনিক বীর মুক্তিযোদ্ধা মজিবর রহমান মাস্টার আর নেই চট্টগ্রামে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সাবেক ভূমিমন্ত্রীর ভাইয়ের মিথ্যা মামলা বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন ইঞ্জি. এ বি এম পলাশ শাহরাস্তি উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক হওয়ায় তার পিতাকে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দেয়নি আওয়ামীলীগ সরকার নিজের বলার মত গল্প ফাউন্ডেশন নান্দাইলে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত পাঁচবিবিতে বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালিত ছাগলনাইয়া পূজা কমিটির সাথে মতবিনিময় করেন বিএনপি নেতৃবৃন্দ ঠাকুরগাঁওয়ে বিশ্ব শিক্ষক দিবস-২০২৪ উদযাপন  কুড়িগ্রামে ১৫৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড, দুর্ভোগে মানুষজন রাজারহাটে যাত্রাবিরতির দাবিতে ট্রেন অবরোধ কর্মসূচি পালিত ধর্ম যার যার উৎসব সবার- পটুয়াখালী জেলা এসপি মোঃ জাহিদ হোসেন মীরসরাইয়ে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের ঢেউটিন, সেলাই মেশিন ও বস্ত্র বিতরণ রাজশাহীর এয়ারপোর্ট থানায় জামাতে ইসলামের যুব বিভাগের মাদক বিরোধী সমাবেশ শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখা আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব ও কর্তব্য ‘ মীর সরফত আলী সপু
বিজ্ঞপ্তি :
বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রানালয়ে আবেদনকৃত।

কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি  ব্রহ্মপুত্রের ৩টি পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ওপর

মোঃ হামিদুল ইসলাম কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি / ১২১ সংবাদটি পড়েছেন
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই, ২০২৪, ৬:৫৬ অপরাহ্ণ

 

কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জেলায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। প্লাবিত হয়ে পড়েছে নতুন নতুন এলাকা।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকালে পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৫৯ সেন্টিমিটার, নুনখাওয়া পয়েন্টে ৫১ সেন্টিমিটার এবং হাতিয়া পয়েন্ট বিপদসীমার ৬৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সেতু পয়েন্টে ধরলার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমা ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

অপর দিকে,কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি,পাটেশ্বরী পয়েন্টে দুধকুমার এবং শিমুলবাড়ী পয়েন্টে ধরলার পানি  সামান্য হ্রাস পেয়ে বিপদসীমা নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বন্যার পানি প্রবেশ করায় জেলায় শতাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বন্যার পানিতে প্রতিদিন প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা।

নদ-নদী তীরবর্তী চর ও নিম্নাঞ্চলের বসতভিটায় পানি প্রবেশ করায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে মানুষজন। অনেক পরিবার গবাদিপশু সহ বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রয় নিয়ে কষ্টে দিন কাটাচ্ছে।

এছাড়াও বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে, আমন বীজতলা, পাট ও মৌশুমী ফসলের ক্ষেত।

কাঁচা-পাকা সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় ভেঙ্গে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। এ অবস্থায় দুর্ভোগ বেড়েছে বানভাষীদের। পানি বন্দী হয়ে পড়েছে অন্ততঃ ৩০ হাজার পরিবারের ৯০ হাজার মানুষ।

সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের পোড়ার চরের বাসিন্দা জহুরুল ইসলাম বলেন,’ব্রহ্মপুত্রের পানি ঘরের চারপাশে আসছে। গবাদিপশু নিয়ে দুঃচিন্তায় আছি।’

বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের মুসার চরের মতিয়ার রহমান জানান, আমার চরের প্রতিটি বাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে। কেউ নৌকা, কেউ বা মাচান করে উঁচু স্থানে রয়েছেন। এখানকার প্রতিটা পরিবার খুব কষ্টে আছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ রাকিবুল হাসান জানান, জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত ব্রহ্মপুত্রসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানি আরও ৪৮ ঘন্টা বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে। ব্রহ্মপুত্রের পানি তিনটি পয়েন্টে বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যন্য নদ নদীর পানি বিপদসীমা নিচে রয়েছে।

জেলা ত্রাণ ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা আব্দুল হাই সরকার জানান, এখন পর্যন্ত বানভাসীদের জন্য ৯ উপজেলায় ১৭৩ মেট্রিক টন চাল ও ১০ লক্ষ টাকা বিতরণের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। মজুত আছে ৬০০ মেট্রিক টন চাল ও ৩০ লাখ টাকা । যা পর্যায়ক্রমে বিতরন করা হবে।


এ বিভাগের আরও সংবাদ

আর্কাইভ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর
Don`t copy text!
Don`t copy text!