বর্তমানে দেশের ক্রমবর্ধমান আমিষের চাহিদা পূরণে হাঁসের মাংস ও ডিম একটি অন্যতম উৎস, এবং আমিষের চাহিদা ও ঘাটতি মেটাতে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে শিক্ষিত যুবকরা মাসকোভি জাতের হাঁসের খামারের প্রতি ঝুঁকছে। পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এর আর্থিক ও কারিগরি সহযোগীতায় স্থায়িত্বশীল উন্নয়নের জন্য সংগঠন ইয়ং পাওয়ার ইন সোশ্যাল এ্যাকশন ( ইপসা) এর সমন্বিত কৃষি ইউনিট ভুক্ত প্রাণীসম্পদ খাত কতৃক আধুনিক খামার ব্যবস্থাপনায় মাচা পদ্ধতিতে সুস্বাদু ও অধিক উৎপাদনশীল মাসকোভি জাতের হাঁস পালন করে খামারীরা তার পরিবারের আমিষের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি নিকটস্থ বাজারে মাসকোভি হাঁস, হাঁসের ডিম ও হাঁসের বাচ্চা বিক্রি করে হচ্ছে স্বাবলম্বী। তুলনামূলক ভাবে মৃত্যুর হার কম হওয়ার কারণে সঠিক জীব নিরাপত্তায় মাসকোভি বা চীনা হাঁসের খামার লাভজনক আয়ের উৎস। মাসকোভি হাঁসের খামার লাভজনক বিধায় চট্টগ্রাম সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মাসকোভি হাঁসের খামার জনপ্রিয় হচ্ছে। খামারী মোঃ দিদার বলেন, পিকেএসএফ ও ইপসার প্রাণীসম্পদ খাতের সহযোগীতায় আমি মাসকোভি হাঁসের খামার শুরু করি। মাসকোভি হাঁসের মাংসের দাম অন্যান্য হাঁসের মাংসের চাইতে বেশী। তুলনামূলক রোগ কম হওয়ার কারণে মৃত্যুর হার কম বিধায় মাচা পদ্ধতিতে মাসকোভি হাঁসের খামার থেকে আয় করা সম্ভব। আমি আমার খামার থেকে মাসকোভি হাঁস, হাঁসের ডিম ও হাঁসের ডিম থেকে বাচ্চা ফুটিয়ে বাজারে বিক্রি করি। ইপসা’র প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা গোলাম সরোয়ার বলেন, সুস্বাদু ও অধিক মাংস উৎপাদনশীল জাতের মাসকোভি হাঁসের সম্প্রসারণ ও রোগের প্রাদূর্ভাব কমানোর উদ্দেশ্যে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) আর্থিক ও কারিগরি সহযোগীতায় স্থায়িত্বশীল উন্নয়নের জন্য সংগঠন ইয়ং পাওয়ার ইন সোশ্যাল এ্যাকশন ( ইপসা) এর সমন্বিত কৃষি ইউনিট ভুক্ত প্রাণীসম্পদ খাত কতৃক ২০১৫ সাল থেকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে খামারীদেরকে আয়ের উৎস ও উদ্যোক্তা তৈরী করার লক্ষ্যে মাঠ পর্যায়ে প্রাণীসম্পদ ভিত্তিক বিভিন্ন প্রযুক্তি বাস্তবায়ন করে আসছে। এই প্রযুক্তির আওতায় আমরা খামারীদেকে একদিনের মাসকোভি হাঁসের বাচ্চা, ঘর তৈরীর মাচা, খাদ্য, ভ্যাক্সিন, বাফার এলাকা, জীবাণুনাশক ও প্রয়োজনীয় ঔষুধ দিয়ে থাকি। পাশাপাশি খামারীদের দক্ষতা বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে প্রযুক্তি ভিত্তিক বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকি।