ব্রাহ্মনবাড়িয়া নবীনগর উপজেলার বিটঘর ইউনিয়ন এর টিয়ারা গ্রামে গেলো উপজেলা পরিষদের নির্বাচন কে ঘিরে স্বেচ্ছাসেবক লীগের বিটঘর ইউনিয়ন এর আহবায়ক মোঃ রাশেদুল ইসলাম কে রাতের আধারে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে।
২২ জুন সরেজমিনে গিয়ে কথা হয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মোহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম এর সাথে। তিনি সারা সরিলে জখম নিয়ে বিছানায় কাতরাচ্ছেন।
এ সময় তিনি বলেন, গেলো নবীনগর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌসের ঘোড়া প্রতিকের আমি নির্বাচন করি এবং উনার এজেন্ট হিসেবে ও কেন্দ্রে ছিলাম যার কারণে আজ আমার এই দশা,
নির্বাচন শেষ হওয়ার পর থেকে আমাদের একই এলাকার আতিকুর রহমান শিশু মিয়া তিনি আনারস প্রতিকে বিএনপির বহিষ্কার করা নেতার পক্ষে কাজ করেছেন,
উনি আমাকে নির্বাচনের আগ মুহূর্তে আমাকে ঘোড়া প্রতিকে নির্বাচন না করার কথা বলেন যদি তার কথা না শুনি তাহলে তা হবে ভয়াবহ।
এর পর নির্বাচন শেষ হওয়ার চার দিন পর আমি টিয়ারা বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে রহিছ মিয়া ও তার ছেলে আমাকে কথা আছে বলে একরাম মিয়ার বাড়ির চিপায় নিয়ে ঐ খানে আগে থেকে ই আতিকুর রহমান শিশু মিয়া ও তার গুন্ডা বাহিনীরা আমাকে মারার জন্য অপেক্ষামান ছিলো। আমি কিছু বুঝে উঠার আগেই চল্লিশ পঞ্চাশ জন লোক আমাকে এলোপাতাড়ি ভাবে লোহার রড স্টিলের ফাইভ দিয়ে আঘাত করে আমাকে বেদম পেটাচ্ছিলেন এর পর আমি জ্ঞান হারালে সন্ত্রাসীরা আমাকে মৃত ভেবে ফেলে রেখে চলে যায়। পরে আমার পরিবারের লোকজন খবর পেয়ে আমাকে উদ্ধার করে প্রথমে নবীনগর ও পরে ব্রাহ্মণবাড়ীয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসা করান এর পর ঈদের এক দিন আগে আমি বাড়িতে আসছি। হামলাকারীরা খুবই প্রভাবশালী
লোকাল থানায় গিয়ে ওসি স্যার কে না পেয়ে পরে আমার স্ত্রী কাজল আক্তার বাদী হয়ে আতিকুর রহমান শিশু মিয়া কে ১ নাম্বার আসামী করে মোট চল্লিশ জনকে আসামী করে কোর্টে মামলা করি তা পিবিআই এর কাছে তদন্তে আছে।
চিকিৎসা চলমান অবস্থায় ঈদের আগের দিন
বাড়িতে এসে ও আমি আসামীদের ভয়ে আতংক দিন কাটাচ্ছি প্রতিনিওতো এরা হাতে দা লাঠি নিয়ে আমার বাড়ির সামনে দিয়ে মহড়া ও হুমকি দিচ্ছে।
আমি তৃনমুল আওয়ামী লীগ হয়ে ও আজ হাইব্রিড আওয়ামী লীগের কাছে আজ জিম্মি হয়ে আছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কাছে আকুল আবেদন আমাদের তৃণমূল আওয়ামী লীগ কে বাঁচান।
এ বিষয় এ মামলার বাদী মোহাম্মদ রাশেদুল ইসলামের স্ত্রী মোছাম্মদ কাজল আক্তারের সাথে কথা হয় তিনি বলেন আমার স্বামী কে আতিকুর রহমান শিশু মেরে ফেলার জন্য আক্রমণ করেছে আমি তার বিচার চাই।
রাশেদুল ইসলামের মেয়ে কলেজ ছাত্রী বলেন আতিকুর রহমান শিশু মিয়া গংরা আমার আব্বু কে প্রাণে মেরে ফেলার জন্য রাতের আঁধারে আক্রমণ করেছে আমার আব্বুর দোষ তিনি আওয়ামী লীগ করেন এবং আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে কেন কাজ করেছেন আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আকুল আবেদন জানাই আমার বাবা কে যারা মেরেছেন তাদের যেন সঠিক বিচার হয় আজ আওয়ামী লীগ ক্ষমতাথাকা কিলিন সময়ে একজন হাইব্রিড আওয়ামী লীগের কাছে আমার বাবাকে মার খেতে হয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমি আমার বাবার উপর হামলাকারিদের বিচার চাই।
এ বিষয় জানতে কথা হয় বিটঘর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান হাজী আবুল হোসেনের সাথে তিনি জানান মোহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম আওয়ামীলীগ নেতা সে প্রকৃত আওয়ামীলীগ তার অপরাধ সে আওয়ামীলীগ নেতার ঘোড়া প্রতিকের নির্বাচন করেছে ঘটনার রাতে সে আমার বাড়ি থেকে বাজারের ফার্মেসী তে যায় ঔষধ নিয়ে বাড়িতে ফেরার পথে রহিছ মিয়া রাশেদ কে ডেকে আতিকুর রহমান শিশুর কাছে নিয়ে যায় সেখানে অবস্থানরত শিশু মিয়ার নেতৃত্বে চল্লিশ জনের উপরে সন্ত্রাসীরা তার উপর হামলা করে তাকে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছে, এবং আতিকুর রহমান শিশু মিয়া তার হাতে থাকা স্টিলের ফাইভ দিয়ে তাকে আঘাত করেছে বলে জানায় রাশেদ
এ ঘটনা যারা জড়িত তদন্ত করে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবী জানাই।
এ বিষয় নবীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক শ্রম বিষয়ক সম্পাদক কবির আহমেদ জানান রাশেদুল ইসলাম খুবই ভালো একটি ছেলে নিরীহ মানুষ তাকে রাতের আঁধারে চল্লিশ পঞ্চাশ জনের একটি সন্ত্রাসী দল হামলা করে গুরুত্বর ভাবে আহত করে মৃত ভেবে ফেলে রেখে চলে যায় পরে তার আত্নীয়স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে আমাদের বাড়িতে নিয়ে আসে প্রথমে নবীনগর ও পরে ব্রাহ্মণবাড়ীয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়, তিনি আরো বলেন আমি মাননীয় এমপি মহোদয় সহ প্রসাশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যেন তার উপর হামলায় জড়িতদের কে আইনের আওতায় আনা হয়।
নবীনগর উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক সালাউদ্দিন বাবু বলেন রাশেদুল ইসলাম খুবই ভাল ছেলে তার উপর হামলার ঘটনা খুবই দুঃখ জনক। আমি তীব্রনিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি আমি আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান বাদল এমপি মহোদয় ও প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রাশেদুল ইসলামের উপর হামলাকারী একই এলাকার আতিকুর রহমান শিশু মিয়ার সাথে দেখা করে রাশেদের উপর হামলার বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি রাশেদ কে হামলা করি নি তার সাথে আমার কোন বিরোধ ও নেই সে নেশা হস্ত হইতো নেশার বিষয় নিয়ে কোন জের ধরে তার উপর হামলা হয়েছে তদন্ত করে যারা হামলা করেছেন তাদের খোঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হোউক আমাকে শুধু শুধু দুষারুপ করা হচ্ছে আমি তার হামলার বিষয় এ জড়িত নই আমি অচিরেই মানহানি মামলা করব তার নামে।