রংপুরের গঙ্গাচড়া শেখ হাসিনা সেতুর মাঝখানে ক্যারেজ ওয়ের বিভিন্ন স্থানে ফাটল ধরেছে ।সেতুর ওপর দিয়ে প্রতিদিন সহস্রাধিক বাস, ট্রাক ও ছোট-বড় যানবাহন চলাচল করে। এতে যে কোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
তিস্তা নদীর ওপর নির্মিত গঙ্গাচড়া সেখ হাসিনা সেতুটি ২০১৮ সালে লক্ষিটারী ইউনিয়নের মহিপুর গ্রামে ৮৫০ মিটার দীর্ঘ সেতু নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গঙ্গাচড়া শেখ হাসিনা সেতুর বিভিন্ন স্থানে ফাটল ধরেছে। সেতুর মাঝখানে বড় ধরনের ফাটল দেখা দিয়েছে। সেখানে গঙ্গাচড়া মডেল থানার পুলিশ পাহারায় আছেন।এর পরও প্রতি মিনিটে ২০-২৫টি পণ্য ও যাত্রীবাহী যান চলাচল করছে। যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
অটোচালক হানিফ মিয়া বলেন, ‘সেতু দিয়া চলাচল করতে ভয় লাগে। যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এটা জেনেও সংসারের খরচ জোগাতে গাড়ি চালাতে হয়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য রমজান বলেন, সেতুর কাজ ভালো না হওয়া ও অধিক যানবাহন চলাচল করায় ফাটলের কারন হতে পারে।
স্থানীয় লক্ষীটারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাদী বলেন, সেতুটি ১০০ বছর মেয়াদি হলেও ৬ বছরের মধ্যে ফাটল দেখা দিয়েছে। আমার ধারনা সেতুটি ২০ বছর টিকে থাকবে কিনা আল্লাহ ভালো জানে।
লালমনিরহাট এলজিইডি এর নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।