চুরানব্বই বছর বয়সে বার্ধক্য জনিত রোগে ভুগছেন বাংলাদেশের শীর্ষ করদাতা ও প্রবীণ ব্যবসায়ী সমাজসেবক দানশীল হাজী মোঃ কাউছ মিয়া। তার বড় পরিচয় তিনি চাঁদপুরের কৃতী সন্তান। বয়সের কারণে তিনি পুরাতন ঢাকার নিজ বাসভবনে শয্যাশায়ী।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায় গেল রমজান মাসে তিনি বার্ধক্য জনিত কারণে খুবই অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে কাউছ মিয়াকে তার সন্তানরা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শে জরুরী ভিত্তিতে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুর মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে প্রায় মাসখানিক চিকিৎসাধীন থাকার পর শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে দেশে আনা হয়। এখন তিনি রাজধানীর আরমানীটোলার বাড়িতেই আছেন।
এমন অসুস্থতার মধ্যেও চাঁদপুরের অসহায় মানুষের কথা ভুলে যাননি তিনি। প্রতিবছরের ন্যায় এবারও আল্লাহর ওয়াস্তে গরিবের জন্য চাঁদপুরে ২৩টি পশু কোরবানি দিয়েছেন তিনি।
সোমবার ১৭ জুন পবিত্র ঈদুল আযহার দিন আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কাউছ পশুগোলো কোরবানি দেন।২৩টির মধ্যে চাঁদপুর শহরের মুখার্জি ঘাট পুরাতন বাড়িতে দশটি, রাজরাজেশ্বর চর এলাকায় আটটি ও তরপুরচন্ডী আনন্দবাজার পুরুন্ডুপুরে ৫টি গরু কোরবানি দেন। এসব পশু কুরবানীর মাংস ওইসব স্থান থেকেই বিতরণ করে দেয়া হয়েছে।
হাজী মোহাম্মদ কাউছ মিয়ার সম্মতি নিয়ে তার সন্তানদের পক্ষে ছেলে হাজী মানিক মিয়া চাঁদপুরে ২৩টি পশু কোরবানির ব্যবস্থা করেন বলে জানা যায়।