সাভারের আশুলিয়ায় গাড়ির চাপ বাড়ায় একটি সড়কে প্রায় ১২ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। আবার কোথাও কোথাও দেখা দিয়েছে যানবাহনে ধীরগতি। এতে ভোগান্তিতে পড়ছেন ঈদে বাড়ি ফেরা মানুষগুলো। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর রয়েছে যানজট নিরসনে।
১৫ জুন, শনিবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের পল্লীবিদ্যুৎ থেকে শ্রীপুর ৫ কিলোমিটার এবং কবিরপুর থেকে চন্দ্রা পর্যন্ত প্রায় ৭ কিলোমিটার সড়কে যানজটের এ চিত্র দেখা যায়।
অন্যদিকে, ঈদে পরিবারের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করতে গ্রামের বাড়ি কুড়িগ্রামে রওনা হয়েছেন পোশাক শ্রমিক সায়লা। তিনি বলেন, অনেক কষ্ট করে বেলা দেড়টার দিকে সাভারের হেমায়েতপুর থেকে একটি লোকাল বাসে উঠেছি। এখন জ্যামের কারণে জিরানী পর্যন্ত এসেছি মাত্র বলে জানান তিনি।
অপরদিকে লেগুনা চালক সবুজ বলেন, একদিন পরেই ঈদ। যাত্রীর চাপ আছে সড়কে। কিন্তু যানজটের কারণে বেশি টিপ মারা যায় না। বাইপাইল থেকে চন্দ্রা যেতেই দেড় ঘণ্টা থেকে দুই ঘণ্টা সময় লাগছে বলে ক্ষোভের কথা জানান তিনি।
এছাড়াও নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের জিরানী, বলিভদ্র, চক্রবর্তী এলাকায় থেমে থেমে চলছে যানবাহন। এতে শিশু, নারীসহ বৃদ্ধদের পড়তে হচ্ছে ভোগান্তিতে। উত্তরবঙ্গগামী আসাদুর রহমান বলেন, গাবতলী থেকে নবীনগর পর্যন্ত সড়কে কোনো ভোগান্তি নেই। সড়কে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। কিন্তু নবীনগর পাড় হয়ে বাইপাইলের দিকে আসতেই দেখি গাড়ির জটলা বেধেছে।
সাভার হাইওয়ে থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ আয়ুব আলী বলেন, দুপুরে সড়কে যাত্রী ও পরিবহনের চাপ বেড়েছে। তাই আশুলিয়ায় কিছুটা ধীরগতি রয়েছে। তবে যানজট নিরসনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সড়কে তৎপর বলে জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।