অবৈধ ভাবে লক্ষ্মীপুরে আসছে ভারতীয় চিনি। বৃহস্পতিবার (৬জুন) ভোর রাতের দিকে জেলা শহরের থানা রোড এলাকায় একটি কার্ভাড ভ্যানে করে আনা চিনি আল-আমিন স্টোর ও হরি নারায়ণ সন্সের গোডাউনে নামানো হয়েছে। ইগলু কোম্পানীসহ দেশি ব্র্যান্ডের বিভিন্ন কোম্পানির মোড়কে বস্তাবন্দি ছিলো চিনির চালান। কয়েকজন ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন এতে জড়িত রয়েছে একটি অসাধু সিন্ডিকেট। এমন কর্মকান্ডে প্রশাসনের নিরবতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সচেতন মহল।
কার্ভাড ভ্যান ড্রাইভার ও ব্যবসায়ী আল-আমিনের কাছে দেখতে চাইলে একটি ট্রান্সপোর্ট চালান ব্যতিত ক্রয়, আমদানি অথবা কোন কোম্পানি থেকে এতো বড়ো চালান এসেছ তার কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেননি তারা। তবে চিনি বহনকারী কার্ভাড ভ্যান ড্রাইভার বলেন, নারায়ণগঞ্জ থেকে অন্য ড্রাইভার কুমিল্লা পর্যন্ত এবং কুমিল্লা থেকে তিনি লক্ষ্মীপুরে এসব চিনি নিয়ে এসেছেন।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, সরকারের শুল্ক ও রাজস্ব ফাঁকির মাধ্যমে আনা হচ্ছে এসব চিনি। চোরাই পথে এসব চিনি লক্ষ্মীপুরে ঢুকছে, এগুলো ভারতীয় চিনি। তাঁদের অভিযোগ, থানা ও প্রশাসনকে ‘ম্যানেজ’ করে এসব চোরাকারবারি চালিয়ে যাচ্ছেন আল-আমিন ষ্টোর ও হরি নারায়ন এন্ড সন্সসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। সাধারণ ভোক্তা ছাড়াও বিভিন্ন, হোটেল, রেস্টুরেন্ট ও ছোট-বড় বেকারিতে বিক্রি করা হচ্ছে নিম্নমানের এই চিনি।
আল-আমিন স্টোরের মালিক আল-আমিনের কাছে এবিষয়ে জানতে চাইলে সাংবাদিকদের ক্যামেরা দেখে পালিয়ে যান তিনি। চিনির বৈধ কাগজপত্রের বিষয়ে মুঠোফোনে জানতে চাইলে হরি নারায়ণ সন্সের মালিক শংকর মজুমদার বলেন, বিভিন্ন স্থান থেকে আমাদের মালামাল আসে। এ বিষয়ে পরে কথা বলবো।
ঘটনাস্থলে কয়েকজন সাংবাদিক, বণিক সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি আজিজুর রহমান, ব্যবসায়ী এবং গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এসময় কিছু ব্যবসায়ী নেতা সাংবাদিকদের ম্যানেজ করারও জন্য চেষ্টা করেন।
এবিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুদ্দিন আনোয়ার বলেন, পুলিশকে ‘ম্যানেজ’ করার বিষয়ে কিছু জানেন না তিনি।