পটুয়াখালী জেলা গলাচিপা উপজেলা ৮ বছরের ছোট বোনকে আটকে রেখে১৪ বছরের বোন কে গণধর্ষণ করে,
এ ঘটনায় জড়িত আসামী রাকিব’কে র্যাব-১১ এবং র্যাব-৮ এর যৌথ অভিযানে গ্রেফতার। র্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধের উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতার, অপরাধ দমন ও আইন শৃঙ্খলার সামগ্রিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড দমনের লক্ষ্যে র্যাব ফোর্সেস অত্যন্ত পেশাদারিত্বের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেফতার ও আইনের আওতায় আনার জন্য নিয়মিত সন্ত্রাস বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে থাকে। এরই ধারাবাহিকতার র্যাব-১১, নারায়ণগঞ্জ এবং র্যাব-৮, পটুয়াখালী এর একটি যৌথ আভিযানিক দল ০৪/০৬/২০২৪ ইং তারিখ নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানা এলাকা হতে পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা থানার মামলা নং-৯/৩৫, তারিখ-১০/০২/২০২৪ইং, ধারা-৯(৩) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী-২০০৩), তৎসহ ৮(১) পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২ এর গণধর্ষণ মামলার সাথে জড়িত প্রধান আসামী মোঃ রাকিব(২৭), পিতাঃ মোঃ ফোরকান মৃধা, সাং-ডাকুয়া (হোগলাবুনিয়া ৪নং ওয়ার্ড), থানা-গলাচিপা, জেলা-পটুয়াখালী’কে গ্রেফতার করা হয়। মামলার সূত্রে জানা যায় যে, ভিকটিমের বয়স ১৪ বছর। গত ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ খ্রিঃ ভিকটিম তার মায়ের সাথে খালাবাড়ী চিংগুরিয়া বেড়াতে যায়। পরবর্তীতে একই তারিখে সন্ধ্যা অনুমান ০৬.০০ ঘটিকায় ভিকটিম ও তার ছোট বোনকে নিয়ে একই গ্রামের বান্ধবীর বাসায় যায়। সেখানে তাহারা কথাবার্তা শেষে বাড়ীর উদ্দেশ্যে রওনা করলে গলাচিপা থানাধীন ডাকুয়া ইউনিয়নের হোগলাবুনিয়া ০৪ নং ওয়ার্ড, হোগলাবুনিয়া মসজিদ পাড় দিয়ে আসার সময় মামলার সূত্রোক্ত মামলার আসামী রাকিব (২৭) ও তার অন্যান্য সহযোগীদের সহায়তায় ভিকটিমকে গতিরোধ করে এবং ভিকটিমকে ধাক্কা মারিয়া রাস্তা থেকে ফালাইয়া দেয়। পরবর্তীতে আসামী রাকিব ও তার অন্যান্য সহযোগীরা ভিকটিমকে টেনে নির্জন জঙ্গলের দিকে নিয়া যায়। পরবর্তীতে আসামী মোঃ রাকিব ভিকটিমকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে এবং আসামী রাকিবের অন্যান্য সহযোগীরা ভিকটিমের হাত ও মাথা চেপে ধরে রাখে ও তাদের একজন ভিকটিমের ০৮ বছর বয়সী ছোট বোনকে মুখ চেপে ধরে রাখে। অতঃপর আসামী রাকিবের পর তার অন্যান্য সহযোগীরা একের পর এক পালাক্রমে ভিকটিমকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এছাড়া গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ রাকিব ও তার অন্যান্য সহযোগীদের সহায়তায় ভিকটিমকে ধর্ষণ করাকালীন সময়ে মোবাইলে ভিকটিমের নগ্ন ও আপত্তিকর ছবি সহ ভিডিও ধারণ করে এবং উক্ত বিষয়ে কারো কাছে নালিশ অথবা থানা পুলিশকে বললে উক্ত ছবি সহ ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করার হুমকি প্রদান করে। এই ঘটনায় ধর্ষিতার পিতা মোঃ খলিলুর রহমান (৩৫) বাদী হয়ে পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করেন। মামলা রুজুর পর থেকে আসামীরা আত্মগোপনে ছিল।
এই মামলা দায়ের পর হতে ঘটনার সাথে জড়িত আসামীদের’কে গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাব-৮ এবং র্যাব-১১ এর একটি চৌকষ গোয়েন্দা দল যথাযথ গুরুত্বের সাথে তাদের সনাক্ত ও অবস্থান নির্ণয় পূর্বক গ্রেফতারের চেষ্টা করে। পরবর্তীতে সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনার সাথে জড়িত আসামী মোঃ রাকিব হাসান (২৭)’কে র্যাব-১১, নারায়ণগঞ্জ এবং র্যাব-৮, পটুয়াখালী এর যৌথ অভিযানে সনাক্ত ও তার অবস্থান নিশ্চিত হয়ে ০৪/০৬/২০২৪ ইং তারিখ নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানা এলাকা হতে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী’কে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।