উজানের পাহাড়ী ঢলে রংপুরের গঙ্গাচড়ায় তিস্তা নদীর পানি বাড়ছে। রবিবার (৩০ জুন) সন্ধ্যা ৬টায় তিস্তা নদীর কাউনিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ৫ সেন্টিমিটার ও ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ১৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়েছে। নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল, চর ও দ্বীপ চরের কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এদিকে তিস্তা নদীতে পানি বাড়া—কমায় ভাঙ্গনের মুখে পড়েছে বিভিন্ন এলাকা। উপজেলার কোলকোন্দ ইউনিয়নের চিলাখাল সূর্যমূখী ক্বারী মাদ্রাসা, চিলাখাল মধ্যপাড়া জামে মসজিদ, উত্তর চিলাখাল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভাঙ্গনের হুমকিতে রয়েছে। এছাড়া কোলকোন্দ ও লহ্মীটারী ইউনিয়নের ৫ শতাধিক ঘরবাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে। তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট। কোলকোন্দ ইউনিয়নের হাকিম মিয়া, রহিমুদ্দিন, আলমগীর, মজমুল, ছাদেকুলসহ অন্যান্য বলেন, দুই সপ্তাহ ধরি তিস্তা নদীর পানি বাড়ে আবার কমে। হামার এত্তি ভাঙ্গন দেখা দিছে। ঘরবাড়ি নিয়ে অনেক বিপদে আছি। এ্যালা পানির জন্তে কোনটেও যাবার পারো না। একদিকে পানি বাড়ে, আরেকদিকে আবার ভাঙ্গতোছে। এই বানোত ঘরবাড়ি টিকবার পামো কিনা আল্লায় জানে। তিস্তা নদীর একটি শক্তিশালী বাঁধ দিলে হামার এমন অবস্থা হইল না হয়। এদিকে রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, উত্তরাঞ্চল ও এর উজানে আগামী ৪৮ ঘন্টায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। এতে করে উত্তরাঞ্চলের তিস্তাসহ অন্যান্য নদ—নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে। গত ২৪ ঘন্টায় রংপুর বিভাগের ৮ জেলায় ৩০৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে জানিয়েছে রংপুর আবহাওয়া অফিস। উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ তামান্না বলেন, তিস্তা নদী এলাকায় বন্যায় ও ভাঙ্গনের বিষয়ে আমরা সার্বক্ষনিক খোঁজ—খবর রাখছি। কোথাও কোন সমস্যা হলে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নিচ্ছি।