চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন জেলার মতো বাংলাদেশে সকল জেলায় পুনাঙ্গ ও কার্যকর‘প্রবাসী সহায়তা ডেস্ক’চালুর আহবান জানিয়েছেন আমিরাত প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
তবে সেই সাথে এ ডেস্কের প্রচার-প্রসারে বাংলাদেশ মিশন ও প্রবাসী সংগঠকদের এগিয়ে আসার আহবান জানান।
সোমবার রাতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সারজায় বাংলাদেশ কমিউনিটি আয়োজিত মুক্ত আলোচনায় কমিউনিটি নেতারা এই দাবি তোলেন।
বাংলাদেশ সমিতির সিনিয়র সহ সভাপতি ইয়াকুব সৈনিকের সভাপতিত্বে ও সাংবাদিক শিবলী আল সাদিকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, দুবাই ও উত্তর আমিরাত কনসাল জেনারেল বি এম জামাল হোসেন। মূখ্য আলোচক ছিলেন প্রবাসী বিষয়ক কনসালটেন্ট ও সিনিয়র সাংবাদিক এজাজ মাহমুদ।
‘প্রবাসী সহায়তা ডেস্ক’ -এর বিভিন্ন দিক তুলে দলে মূখ্য আলোচক এজাজ মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নুরে আলম মিনা রেমিট্যান্সযোদ্ধাদের পাশে থাকার মহান ব্রত নিয়ে মাঠ পর্যায়ে ‘প্রবাসী সহায়তা ডেস্ক’ প্রবর্তন করেন এবং দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন প্রকল্পটি নিয়ে । এরই মধ্যে অসংখ্য প্রবাসী সহায়তা ডেস্কের মাধ্যমে উপকৃত হয়েছেন। তবে এখনো সর্বস্তরের প্রবাসীর কাছে এই সহায়তা ডেস্কের কার্যক্রম ও সেবা প্রসঙ্গে প্রকৃত কোন ধারণা নেই।
তিনি এ ডেস্কের প্রচার-প্রসারে প্রবাসী বাংলাদেশি সংগঠকদের এগিয়ে আসার আহবান জানান, যাতে সর্বস্তরের প্রবাসী এ ডেস্কের সুফল পেতে পারেন।
মুক্ত আলোচনায় আমিরাত প্রবাসী বাংলাদেশিরা বলেন, জীবিকার তাগিদে দূর প্রবাসে থাকলেও প্রবাসীরা প্রতিনিয়ত উৎকণ্ঠায় থাকে পরিবার-পরিজনের নিরাপত্তা নিয়ে। জায়গা জমি দখল, সন্ত্রাসীদের নানা ধরনের উৎপাত, চাঁদাবাজী, ও পারিবারিক কলহসহ বিভিন্ন ঘটনায় দূর দেশে থেকে কিছু করতে না পেরে প্রবাসীরা অনেকটা নিরুপায় হয়ে পড়ে। সে ক্ষেত্রে দেশের জেলায় জেলায় সহায়তা ডেস্কের কার্যক্রম ও সেবা নিয়ে সরকারকে আরো জোরালো ভুমিকা রাখতে হবে।
তারা আরও বলেন, সহায়তা ডেস্কের কার্যক্রম ও সেবা” বাড়াতে এই প্রকল্পটি কার্যকর করে তুলতে হবে। সেই সাথে বাংলাদেশ মিশনকেও এগিয়ে আসাতে হবে।
এছাড়াও বাংলাদেশ পুলিশের মতো জেলা পর্যায়ের পাসপোর্ট অফিস, বিআরটিএ, সিডিএসহ সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠানগুলোতেও প্রবাসী সহায়তা ডেস্কের চালুর উপর গুরুত্বারোপ করেন এজাজ মাহমুদ।
প্রধান অতিথি বি এম জামাল হোসেন বলেন, প্রবাসীদের সহয়তা করতে আমরা সব সময় অঙ্গিকার বদ্ধ। তবে সে জন্য বিচার প্রার্থীদের প্রশাসনের প্রতি আস্তা রাখতে হবে। প্রবাসী সহায়তা ডেস্কের কনসেপ্টটি সময় উপযোগী একটি প্রকল্প।আমি মনে করি প্রবাসীদের সহয়তা করতে পুলিশ প্রশাসন এই কনসেপ্ট নিয়ে এগিয়ে যেতে পারবে। প্রবাসীদের সার্বিকভাবে সহয়তা করতে পারবে। তিনি এ জন্য দুবাই মিশন থেকে সর্ব প্রকার সহযোগিতা করতে প্রস্তুত বলে উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রবাসী সিআইপি এ কে আজাদ, আবুল কাসেম ও জসীম উদ্দিন, কমিউনিটি নেতা ইসমাইল গনী চৌধুরী, মহিউদ্দিন জামান, কামাল হোসেন সুমন,আজমান বাংলাদেশ সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাফায়েত উল্লাহ, মকবুল আহমেদ প্রমুখ ।