ঘৃর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে কুড়িগ্রামের ৯ উপজেলায় থেমে থেমে বৃষ্টি ও দমকা বাতাসে সড়ক ও বিদ্যুৎ এর লাইনের উপর গাছপালা ভেঙে পড়েছে। যার ফলে বিদ্যুৎ বিছিন্ন হয়ে গেছে গোটা জেলা। তবে কুড়িগ্রাম পৌর শহরে কিছুটা বিদ্যুৎ এর দেখা মিললেও পল্লী বিদ্যুৎ এর দেখা মিলছে না ১৭ ঘন্টা। ফলে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশার চালক ও বিদ্যুৎ এর উপর নির্ভরশীল মানুষগুলো বিপাকে পড়েছেন।
সোমবার (২৭ মে) বিকেল থেকে ঘৃর্ণিঝড় রেমালের প্রভাব পড়তে শুরু করে কুড়িগ্রামে। একইদিন সন্ধ্যা থেকে রাতভর থেমে থেমে বৃষ্টি ও দমকা বাতাস বইতে শুরু করে। এতে করে জেলার বিভিন্ন এলাকায় গাছপালা ভেঙে পরে বিদ্যুৎ বিছিন্ন হয়ে যায়। তবে কোথাও কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিস সুত্র জানায়, ঘৃর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় ৪৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার পাঁচগাছী ইউনিয়নের মিলপাড়া এলাকার নুরুল হক বলেন, গতকাল সন্ধ্যা থেকে আমাদের এখানে বৃষ্টি আর দমকা বাতাস বইছে। এমন একটা করে দমকা বাতাস আসছে মনে হয় বাড়ি ঘর ভেঙে যায়। এছাড়াও গতকাল থেকে বিদ্যুৎও নাই। হঠাৎ এমন পরিস্থিতিকে পরে খুব সমস্যা হয়েছে।
একই এলাকার মজিদুল ইসলাম বলেন, রাতে বৃষ্টির সাথে দমকা বাতাসে রাতে ঘুমাতে পারি নাই। কি জানি বাতাসে ঘর ভেঙে যায়। বাতাসে অনেকের কাঁচা বাড়িঘর ভাঙছে। দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ না থাকার কারণে মোবাইলের নেটওয়ার্কও পাওয়া যাচ্ছে না ভালো মতো। তবে সকাল থেকে বৃষ্টি ও দমকা বাতাস নাই।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, ঘৃর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে কুড়িগ্রামে বৃষ্টি হচ্ছে। এর প্রভাব আগামীকাল পর্যন্ত থাকতে পারে।
কুড়িগ্রাম লালমনিরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) মোঃ মহিতুল ইসলাম বলেন, ঘৃর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে কুড়িগ্রামে দমকা বাতাসে গাছপালা ভেঙে বিদ্যুৎ এর লাইনে পড়ে। যার ফলে গতকাল সন্ধ্যা থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। আমাদের লোকজন কাজ করছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরের পর বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হতে পারে।